গ্রাম অঞ্চলে গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য সরকার বেসরকারি কলেজসমূহে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু করে ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, দীর্ঘ ২৭ বছর পার হয়ে গেলেও উচ্চশিক্ষাদানে নিয়োজিত শিক্ষকদের আজও এমপিওভুক্ত করা হয়নি। এদিকে নীতিমালার দোহাই দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো কালক্ষেপণ করছে। একই এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেখানে ইন্টারমিডিয়েট ও স্নাতক শ্রেণির শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হতে পারেন, অন্যদিকে মাদরাসা পর্যায়ের কামিল ও ফাজিল কোর্সের শিক্ষকরাও এমপিওভুক্ত হতে পারেন সেখানে অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকদের কেন এমপিওভুক্ত করা হয় না? প্রায় তিন লাখ শিক্ষার্থীকে শিক্ষাদানে নিয়োজিত ৩,৫০০ জন শিক্ষক সরকারি বিধি মোতাবেক নিয়োগ পেয়েও সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত।
সম্প্রতি উচ্চ আদালত অনার্স-মাস্টার্স পর্যায়ে কর্মরত শিক্ষকদের জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করে এমপিওভুক্তি প্রদানের জন্য মাউশি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিলেও সেটি কার্যকর হয়নি। ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে নতুন জনবল কাঠামো প্রণয়ন করা হলেও হাইকোর্টের রায়কে অমান্য করে ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের জনবল কাঠামোর অজুহাত দেখিয়ে শিক্ষা অধিদপ্তর তা একটি গোঁজামিল নিষ্পত্তি আদেশ দেন।
পরিশেষে, সরকারের কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ এই যে অবিলম্বে উচ্চশিক্ষাদানে নিয়োজিত শিক্ষকদের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করে এমপিওভুক্তির ব্যবস্থা করুন।
লেখক: প্রভাষক, কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ, কাপাসিয়া, গাজীপুর
সূত্র: ইত্তেফাক