ঠাকুরগাঁও ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে মাদরাসার পুকুর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুকুরের একাংশে জোর করে বাঁশের খুটি দিয়ে মাছ ধরে বিক্রি করছে যুবলীগ নেতা জিয়াউর হুদা। আর যুবলীগ নেতার দাবি, দাদার সম্পত্তি হিসেবে পুকুরে জমির অংশ রয়েছে বলেই তিনি দখল করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড়গাঁ ইউনিয়নের কিসমত চামেশ্বরী গ্রামে।
কিসমত চামেশ্বরী গ্রামে স্থানীয় এলাকাবাসি অফিজউদ্দিন, ইব্রাহীম, রফিকুল ইসলামসহ অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কিসমত চামেশ্বরী ঈদগাঁ দাখিল মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে জিয়াউর হুদার পরিবারের পক্ষ থেকে এবং বেশ কয়েকজন দাতা ২৮ বছর আগে মাদরাসার নামে ২ একর ৪৭ শতক জমি দান করেন। এরপর থেকে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ওই পুকুর লিজ দিয়ে মাদরাসার উন্নয়নে ব্যয় করে আসছে। পরিবারের পক্ষ থেকে যখন মাদরাসার নামে জমি দান করা হয় তখন জিয়াউর হুদার বয়স আনুমানিক ১০ বছর। দীর্ঘ ২৮ বছর পর হঠাৎ জিয়াউর হুদা পুকুরে তার অংশ আছে দাবি করে বাাঁশের খুটি স্থাপন করলে স্থানীয়রা ক্ষুদ্ধ হয়। স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার শালিশ বৈঠকও হয়। কিন্তু জিয়াউর হুদা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে গাঁয়ের জোরে পুকুরে খুটি স্থাপন করে মাছ তুলে বিক্রি করছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা জিয়াউর হুদা দাবি করে জানান, আমি আমার অংশে খুটি স্থাপন করেছি। আর পুকুরে আমি নিজেও মাছ ছেড়েছি। তাই মাছ উত্তোলন করেছি। আমার ফুফু নফিফা খাতুন ও সরিফা খাতুন আমার নামে জমি লিখে দিয়েছে। সেই জমি পুকুরে রয়েছে। তবে এখানে দলের প্রভাব খাটিয়ে নয়, আমি ব্যক্তি হিসেবেই সবকিছু করেছি।
বড়গাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম রবি জানান, জিয়াউর হুদা ওই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। এই কাজটি করে সে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। যদি সে জমি পেয়েই থাকে তাহলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। তা না করে পুকুরের অংশে খুটি দিয়ে জমি উদ্ধারের চেষ্টা করছে। আমরা এসব কোনোভাবেই কাম্য করি না।