স্থানীয় একটি মাদরাসার সভাপতি না করায় এক ছাত্রলীগকর্মী মারধর করেছে ওই মাদরাসার সুপারকে। গত বুধবার রাতে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া বাজারে ঘটনার একপর্যায়ে লোকজন জড়ো হলে ছাত্রলীগকর্মী মো. আতিকুর রহমান মোহন মাদরাসা সুপারকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ বিষয়ে মাদরাসা সুপার মো. আব্দুল মতিন বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
মোহন দাসপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি জামাল হোসেন মৃধার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাউফলের পূর্ব খাজুরবাড়িয়া দাখিল মাদরাসার সভাপতি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও দাসপাড়া ইউপি চেয়ারFম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করায় ওই মাদরাসার সভাপতি করা হয় ইউএনওকে। এতে ক্ষুব্ধ হয় মাদরাসার আরেক সাবেক সভাপতি জামাল হোসেন মৃধার ছেলে আতিকুর রহমান মোহন। গত বুধবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে কালাইয়া বাজারের আব্দুস সত্তার মার্কেটের সামনে মাদরাসা সুপার আব্দুল মতিনকে পেয়ে মোহন তাকে সভাপতি না করায় অশালীন ভাষায় গালাগাল করে। একপর্যায়ে সে মতিনকে কিল, ঘুষি এবং চড়-থাপ্পড় মারে। ওই সময় লোকজন জড়ো হলে মতিনকে কর্মস্থলে যেতে মানা করে মোহন বলে, গেলে তাঁকে মেরে ফেলা হবে। মতিনকে হুমকি দিয়ে সে চলে যায়।
মাদরাসা সুপার আব্দুল মতিন বলেন, ‘যেহেতু ইউএনও স্যার আমার প্রতিষ্ঠানের সভাপতি এবং উপজেলার প্রশাসনিক অভিভাবক তাই আমি তাঁকে বিষয়টি আজ (বৃহস্পতিবার) লিখিত ও মৌখিকভাবে জানিয়েছি। আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ’
ইউএনও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
এ নিয়ে ছাত্রলীগকর্মী মোহনের বক্তব্য জানতে তাঁর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সে তা রিসিভ করেনি।