মাদ্রাসা শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি - দৈনিকশিক্ষা

মাদ্রাসা শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক |

মাদ্রাসা শিক্ষা জাতীয়করণসহ চার দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন। শনিবার(২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংগঠনের মহাসম্মেলনে উপস্থিত প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী।  তবে, জাতীয়করণের ঘোষণা না পাওয়ায় অনেক শিক্ষককে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।

বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের এসব দাবির মধ্যে রয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরী জাতীয়করণ। শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরীর বয়সসীমা ৬৫ বছর করা। শিক্ষার্থীর সংকট দূর করার জন্য সংযুক্ত ও স্বতত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলোকে প্রাইমারি স্কুলের ন্যায় জাতীয়করণের আওতাভুক্ত করা, উপবৃত্তি প্রদান ও টিঢিনের ব্যবস্থা করা  এবং নতুন ইবতেদায়ী মাদ্রসার পথ খুলে দেয়া।

শিক্ষক সংকট দূর করার জন্য বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন কর্তৃক পেশকৃত জনবল কাঠামো অনুমোদন, মাদ্রাসার সহকারি মৌলভীদের বেতন বৈষম্য দূরিকরণসহ সমস্যাসমূহের সমাধান করা।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এদেশে কোরআর বিরোধী কোনো আইন হবে না। শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, আপনাদের দাবি আমি কখনো ভুলিনি। ইতোমধ্যেই ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যায়, মাদ্রাসা অধিদপ্তর, বেতনসহ অন্যান্য অনেক দাবি পুরণ করা হয়েছে। এখন চাকরি জাতীয়করণ ছাড়াও যে দাবিগুলো রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরবো। আশা করি তিনি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে কথা বলে বিবেচনা করবেন। মাদ্রাসা শিক্ষকদের হতাশ না হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব সময় মাদ্রাসা ও ইসলাম শিক্ষার প্রতি আন্তরিক। যার দৃষ্টান্ত আপনারা অতীতে পেয়েছেন আগামীতেও পাবেন। আমি গোনাহগার বান্দা। কিন্তু ভাগ্যবান। কারণ দেশের বিপুল সংখ্যা আলেম সমাজের সঙ্গে চলাফেরা করি। তিনি মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য সরকারের নানা উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন,সারাদেশে আমি যাই। কিন্তু এতো বড় সমাবেশ দেখিনি।

সম্মেলনে সালমান এফ রহমান আলেম-ওলামাদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় মাদ্রাসা শিক্ষা ও আলেম ওলামাদের প্রতি সন্মান দেখান। বর্তমান সরকার সব সময় মাদরাসার উন্নয়নে আন্তরিক। আশা করি আপনাদের দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে তিনি পুরণ করবেন। আমিও আপনাদের কথা প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরবো।
এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, মাদক নিয়ে একটি জরীপ করা হয়। সেখানে দেখা যায় পুলিশ সদস্য, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, রাজনীতিকসহ নানা ধরণের মানুষ মাদক সেবন ও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু কোনো মাদ্রাসা ছাত্রকে মাদকের সঙ্গে যুক্ত থাকার তথ্য পাওয়া যায়নি। শিক্ষায় নৈতিকতার অভাব ও মাদকের কারণে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে। নতুন প্রজন্মকে সঠিক পথে আনতে চাইলে মাদরাসা শিক্ষার বিকল্প নেই। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ইসলাম চিন্তা চেতনার কারণে শিক্ষামন্ত্রী সুযোগ পেলেই মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে কাজ করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও মাদ্রাসা শিক্ষার প্রতি সহানুভুতিশীল। এ জন্য তাদের অভিনন্দন জানাই। ইবতেদায়ী থেকে কামিল পর্যন্ত সকল মাদরাসার শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার যদি মাদরাসা শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ করে তাদের রুটি রুজির সহায়তা করেন তাহলে আলেমরা সুন্দর সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। আমরা সব সময় বলছি সরকারের ভাল কাজের সঙ্গে আমরা ছিলাম-আছি- থাকবো। মনে রাখতে হবে মাদরাসা ছাত্র শিক্ষকদের ভোটের সংখ্যা দেড় কোটি। রাজনীতি না করলেও এই ভোট রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
বি এইচ হারুন বলেন, সত্য ন্যায় ও সঠিক ভাবে সুন্দর সমাজ গঠনে মাদ্রাসাগুলো ভূমিকা পালন করছে। এদেশে কওমী মাদ্রাসা অবহেলিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের মূল্যায়ন করেছেন। এ এম এম বাহাউদ্দীনের নের্তৃত্বে দেশের মাদ্রাসার শিক্ষকরা ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় মাদরাসার শিক্ষকদের মধ্যে বিভক্তির চেস্টা করা হয়। বাহাউদ্দীনের যোগ্য নের্তৃত্বের কারণে তারা সফল হতে পারেননি। দেশের আলেমদের মনে করি এটাই সত্যিকারের মানুষ গড়ার কারিগর।

মাওলানা সাব্বীর আমমেদ মোমতাজী বলেন,আমরা শেখ হাসিনার উন্নয়নের সঙ্গে আছি। আমাদের নেতা এ এম এম বাহাউদ্দীন মাদরাসা শিক্ষক ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছেন। শিক্ষা মন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাদরাসা শিক্ষার জন্য যে আন্তরিকতা দেখাচ্ছেন তাতে তাদের সবার পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0070672035217285