বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় জ্ঞান সৃষ্টি, আহরণ ও বিতরণ কেন্দ্র। দেশের সর্বোচ্চ মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিচরণ করে নিজেদের সৎ, যোগ্য, আদর্শবান ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু বলেছিলেন, একটি দেশ ভালো হয়, যদি সে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভালো হয়। বর্তমান সময়ে অবশ্য এই উক্তিটি জাদুঘরে স্থান পেতে চলেছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।
নিবন্ধে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে হারিয়েছি; যে আবরার এইচএসএসিতে ঢাকা বোর্ডে সেরা ২০-এ ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টপ সাবজেক্ট জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং পেয়েছিল। ঢাকা মেডিকেল কলেজেও চান্স পেয়েছিল। বিদেশের একটি নামকরা প্রতিষ্ঠানে নিউক্লিয়ার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু সেসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তি না হয়ে সে বুয়েটের টপ সাবজেক্ট তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগে ভর্তি হয়েছিল। একজন আবরার বাংলাদেশকে অনেক কিছুই দিতে পারত। কিন্তু আমরা আজ তাকে হারিয়েছি।
আমরা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে মেরুদণ্ডহীনভাবে দাঁড় করিয়েছি, যা জাতির কাছে দৃশ্যমান। এসব সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারকে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানবিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে এবং শিক্ষকদের মানবিক হতে হবে।
আরিফ ইকবাল নূর : শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়