আজ বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা লকডাউন করা হবে বলে জানা গেছে। সিটি কপোরেশন স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়, জেলা প্রশাসন, স্থানীয় থানাসহ সমন্বিতভাবে এই লকডাউন কার্যকর করা হবে। ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুকতারুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানীজুড়ে এলাকাভিত্তিক লকডাউনের অংশ হিসেবে এই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্ত মতে যেসব এলাকায় করোনা শনাক্তের হার বেশি সেসব এলাকাকে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে রেডজোন এলাকাগুলো ভিন্নমাত্রার লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মোট ৪৫টি এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটির ১৭ এবং দক্ষিণ সিটির ২৮টি এলাকা আছে। আর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার ১১টি এলাকা রেড জোনের মধ্যে পড়েছে।
গত কয়েকদিন ধরেই এ লকডাউন কার্যকরের কথা শোনা যাচ্ছিল। গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারে লকডাউন এলাকা পরিদর্শন শেষে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে লকডাউন কার্যকর করতে রাতেই সিদান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছিলেন স্থানীয় সরকার বিষয়ক মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
ঢাকা উত্তর সিটি: উত্তর সিটি করপোরেশনের যে ১৭ এলাকাকে রেড জোন হিসেবে ধরা হয়েছে সেগুলো হলো- বসুন্ধরা, বাড্ডা, ক্যান্টনমেন্ট, মহাখালী, তেজগাঁও, রামপুরা, আফতাবনগর, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, গুলশান, মগবাজার, এয়ারপোর্ট, বনশ্রী, রায়েরবাজার, রাজাবাজার, উত্তরা, মিরপুর।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি: দক্ষিণ সিটির ২৮টি এলাকার মধ্যে আছে- যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, মুগদা, গেন্ডারিয়া, ধানমন্ডি, জিগাতলা, লালবাগ, আজিমপুর, বাসাবো, শান্তিনগর, পল্টন, কলাবাগান, রমনা, সূত্রাপুর, মালিবাগ, কোতোয়ালি, টিকাটুলি, মিটফোর্ড, শাহজাহানপুর, মতিঝিল, ওয়ারী, খিলগাঁও, পরিবাগ, কদমতলী, সিদ্ধেশ্বরী, লক্ষ্মীবাজার, এলিফ্যান্ট রোড, সেগুনবাগিচা।
চট্টগ্রাম সিটি: চট্টগ্রাম সিটির ১০ এলাকাকে রেড জোনের মধ্যে রাখা হয়েছে। সেগুলো হলো, চট্টগ্রাম বন্দরে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড, পতেঙ্গার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড, পাহাড়তলির ১০ নম্বর ওয়ার্ড, কোতোয়ালির ১৬, ২০, ২১ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড, খুলশীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড, হালিশহর এলাকার ২৬ নম্বর ওয়ার্ড।
আরও তিন জেলা: ঢাকার বাইরের তিন জেলার মধ্যে গাজীপুরের সব কটি উপজেলাকে রেড জোনের আওতার মধ্যে আনা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, সদর এবং পুরো সিটি এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঢাকার দুই সিটি ও চট্টগ্রামের যেসব এলাকায় প্রতি এক লাখ জনসংখ্যায় ১৪ দিনে ৬০ জন আক্রান্ত হয়েছে সেসব এলাকাকে রেড জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। ঢাকার বাইরে এই অনুপাত লাখে ১০।