রাণীশংকৈলে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোচিং ব্যবসার অভিযোগ - Dainikshiksha

রাণীশংকৈলে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোচিং ব্যবসার অভিযোগ

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি |

ঠাকুরগাঁয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় বিভিন্ন নামি দামি স্কুল কলেজের শিক্ষকরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দীর্ঘ দিন ধরে কোচিং ব্যবসায় চালিয়ে আসছেন। সরকারি নীতিমালাকে বৃদ্ধা আঙ্গুলী দেখিয়ে নামে মাত্র কোচিং গুলোতে পড়ালেখার নামে মোটা অংকের নগদ অর্থ গুনছেন অসাধু কিছু শিক্ষক।

এদিকে মঙ্গলবার ১৮ এপ্রিল সকালে এক অভিভাবক দুঃখ করে বলেন, ‘আমি বাবা গরিব মানুষ আমার মেয়ের পিছনে কোচিং পড়ালেখা বাবদ প্রতি মাসে ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা দিতে হয়। কাগজ কলম ও খাতা বাবদ এবং ভাড়া ম্যাসেও টাকা পয়সা দেওয়া লাগে। পড়ালেখা কেমন করছে আমি বাবা জানি না। প্রতি মাসে ধান, গম বিক্রি করে টাকা দেওয়া লাগে’।

সরেজমিনে কোচিং সেন্টার গুলো ঘুরে দেখা গেছে- মহাদেব বসাক নামে এক কলেজ উপাধ্যক্ষ ’নেপচুন’ কোচিং সেন্টার পরিচালনা করছেন। তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

বাংলা বিভাগের প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলমের কোচিং সেন্টারের বিষয়ে কথা বললে, তিনি তার কোচিং-এ ফি খুব কম বলে মন্তব্য করেন।

অপরদিকে আইসিটি বিভাগের কলেজ শিক্ষক মিঠু তালুকদারের কোচিং সেন্টারের র্কোস ফি প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার মত। এসব শিক্ষকরা নিজেদের বাসায় বৃহৎ বাণিজ্যিক কোচিং সেন্টার গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ আছে।

স্কুল শিক্ষকরাও কোচিং সেন্টার হিসেবে নিজেদের বাসা ও ভাড়াকৃত ভবনে ফেসটুন, ব্যানার টাঙ্গিয়ে পড়ালেখার নামে অভিভাবকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগে জানা যায়।

উপজেলায় স্কুল শিক্ষকদের অগ্নিশিখা কোচিং সেন্টার, রেনেসা কোচিং সেন্টার, সাইন্সকোর্নার কোচিং সেন্টার ব্যাঙের ছাতার মত শতাধিক কোচিং সেন্টার গুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের ভির চোখে পড়ার মত। নিজস্ব কোচিং-এ ছাত্র-ছাত্রীদের ধরে রাখার জন্য শতভাগ উপস্থিতি পুরস্কার, বনভোজন, মেধাক্রমে পুরষ্কারসহ বিভিন্ন প্রলভোন দেখিয়ে যে যার মত কোচিং-এ ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বাড়িয়ে তুলছেন।

২০১২ খ্রিস্টাব্দের ২০ জুন শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা জারির মাধ্যমে কিছুটা পরিবর্তন হলেও বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থাকে অকার্যকর করতে এক ধরনের অসাধু কোচিং ব্যবসায়ীরা দারুণ ভাবে তৎপর হয়ে উঠেছে। কিছু অভিভাবক বাধ্য হয়েই এই কোচিং ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পরে নগদ অর্থ তুলে দিচ্ছেন।

স্কুল কলেজে পড়ালেখার পাশাপাশি কোচিং সেন্টার গুলো ব্যপক পড়ার চাপ সৃষ্টি করায় ছাত্র-ছাত্রীরা মাথা ব্যাথা, চোখ ব্যাথাসহ শারীরিক সমস্যায় ভুগছে বলে একজন অভিভাবক মা অভিযোগ করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মোঃ নাহিদ হাসান বলেন- যে পাঠদান তাদের বিদ্যালয়ে দেওয়ার কথা তা না করে তারা তাদের প্রতিষ্ঠিত কোচিং সেন্টারেই দিচ্ছে। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের - dainik shiksha পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার - dainik shiksha ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0084929466247559