বাগেরহাটের ফকিরহাটে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে (শ্রেণীকক্ষে ঢোকার সময় সহপাঠীর গায়ে ধাক্কা লাগে) ফকিরহাট উপজেলার দিয়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র ইব্রাহিম আলী শেখকে লাঠি ও বেত দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক ইয়াছিন আলী। পরে তাকে উদ্ধার করে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আহত ছাত্র ইব্রাহিম আলী শেখ বলেন, শ্রেণীকক্ষে ঢোকার সময় এক সহপাঠীর গায়ে ধাক্কা লাগে। সহপাঠী বিষয়টি হেড স্যারকে জানালে তিনি কোনো কথা না বলেই আমাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে ইয়াছিন আলী স্যার আমাকে ধরে রাখে এবং হেড স্যার আমাকে লাঠি দিয়ে মার শুরু করে। এক পর্যায়ে লাঠি ভেঙ্গে গেলে বেত দিয়ে পুনরায় পিটায়। আহত শিক্ষার্থীর বড় ভাই আবুল কালাম বলেন, ‘একজন শিক্ষক আমার ভাইকে যেভাবে মারধর করেছে এটা মেনে নেয়া যায় না।
আমি এর বিচার চাই। যাতে আর কখনও কোনো শিক্ষার্থীকে অন্যায়ভাবে মারধর না করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত শিক্ষকের বিচারের দাবি জানান তিনি। প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করায় ইব্রাহিম আলী শেখকে কয়েকটি পিটান দিয়েছি। তার অভিভাবকদেরও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।