এবার খোদ শিক্ষকই বাল্যবিবাহের মতো আইন বিরুদ্ধ কাজ করলেন। ঘটনাটি ঘটেছে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ফেরিঘাট এলাকায়। গত ৭ মার্চ ১৫ বছর ৩ মাস বয়সী এক কলেজছাত্রীকে বিয়ে করেছেন স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সৌরভ দাস শুভ্র। তবে, অভিভাবকরা বলছেন অন্য কথা। তাদের মতে, বখাটেদের উৎপাতে বাধ্য হয়ে তড়িঘড়ি বিয়ে দিয়েছেন মেয়েকে।
নলছিটি ফেরিঘাট এলাকায় কনের বাড়িতে গত ৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার) রাতে সরকারি নলছিটি ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী শান্তা দে’র সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বাকেরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ পশ্চিম শিয়ালগুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সৌরভ দাস শুভ্রর বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পরদিন হিন্দু ধর্মের রীতি অনুযায়ী কনের বাড়িতে বর-কনের অবস্থান করার কথা থাকলেও বাল্যবিয়ের বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় ৮ মার্চ (শুক্রবার) সকালে নলছিটি ছেড়ে চলে যায় নবদম্পতি। কনে শান্তা দে নলছিটি উপজেলার ফেরিঘাট এলাকার শেখর চন্দ্র দে’র কন্যা।
বয়স গোপন করে বাল্যবিয়ে সম্পন্ন হওয়ার খবর জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসী জানান, মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় তড়িঘড়ি করে বিয়ের আয়োজন করেন শেখর চন্দ্র দে। বিয়ে অনুষ্ঠানে এলাকার শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতারাসহ নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন অংশগ্রহণ করেন।
সরকারি নলছিটি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম কবির জানান, শান্তা দে একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। তার রোল নং-২৩৮। এসএসসি সার্টিফিকেট ও ভর্তির সময় কলেজে জমা দেয়া তথ্যানুযায়ী, শান্তার জন্ম ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দের ৮ ডিসেম্বর।
এ ব্যাপারে নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশ্রাফুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে ওই বিয়ে বন্ধ করতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এরপরেও যদি বিয়ে সম্পন্ন হয়ে থাকে তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।