২০০৫ খ্রিস্টাব্দে নিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক করার আগে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে যেনতেন পাসকরা ব্যক্তিরা ঢুকে পড়তে পারতেন। ফলে চাহিদার তুলনায় উপযুক্ত শিক্ষক পাওয়া যেত কম। উপযুক্ত শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে গঠন করা হয় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১২ টি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাক যোগ্যতার ভিত্তিতে উপযুক্তদের সনদ প্রদান করে। কিন্তু এ পর্যন্ত নিয়োগ হয়েছে হাতে গোনা কয়েক হাজার।
২০১৫ খ্রিস্টাব্দে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়, এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক নিয়োগের সরাসরি সুপারিশ করবে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ, প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির হাতে কোনো ক্ষমতা থাকবে না। ঘোষণাটি সর্বমহলে প্রশংসিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। শূন্যপদ খালি সাপেক্ষে নিয়োগ পেয়েছিলেন মাত্র ছয় হাজার নিবন্ধনধারী শিক্ষক। বাকি পদগুলো এখনো পূরণ করা হয়নি।
শূন্যপদের ভিত্তিতে নতুন পদ্ধতিতে ত্রয়োদশ নিবন্ধনধারীদের পরীক্ষা নিয়েও চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের এখনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ভাইভা পাসের পর নিয়োগ হয় না, এমন ঘটনা পৃথিবীতে বিরল। বর্তমানে দেশে প্রায় ষাট হাজারের মতো শূন্যপদ রয়েছে। লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনটিআরসিএ কেন নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করছে না, তা আমরা জানি না। কিছুদিন আগে এনটিআরসিএ নিবন্ধন সনদপ্রাপ্তদের একটি জাতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ করে। কিন্তু নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কোনো খবর নেই। অনেকে ভেবেছিল, ঈদুল আজহার আগেই গণবিজ্ঞপ্তি আসবে; কিন্তু তা আর হলো না। তবু নিবন্ধন সনদধারীদের আশা, শিগগিরই গণবিজ্ঞপ্তি আসবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মুন্নাফ হোসেন, ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ।
[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়]