শিক্ষক যখন আইনজীবী - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষক যখন আইনজীবী

মাদারীপুর প্রতিনিধি |

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করেও ওকালতি পেশায় নিয়োজিত থাকার অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা মৌলভীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গৌতম চন্দ্র মন্ডল। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গৌতম চন্দ্র মন্ডল মাদারীপুর আইনজীবি সমিতির একজন সদস্য এবং একই সাথে তিনি সরকারি স্কুলের শিক্ষক। স্থানীয়দের অভিযোগ, গৌতম চন্দ্র মন্ডল স্কুল ফাঁকি দিয়ে ওকালতি পেশা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম। এছাড়া বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে সনদ নেয়ার অন্যতম প্রধান শর্ত হচ্ছে, অন্য কোন লাভজনক পেশায় নিযুক্ত হতে পারবেন না তিনি। কিন্তু তিনি বার কাউন্সিলের নিয়ম ভঙ্গ করে একই সাথে সরকারি চাকরি ও ওকালতি পেশায় নিযুক্ত রয়েছেন। এতে একদিকে শিক্ষকতার মতো মহৎ পেশায় সময় দিতে পারছেন না, অন্যদিকে মাদারীপুর আইনজীবী সমিতির সকল সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করছেন। 
তবে গৌতম চন্দ্র মন্ডল তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি নিয়মিত স্কুলে থাকি, স্কুল ছুটির দিন প্র্যাকটিস করি। আইনজীবি সমিতি থেকে কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করি না। তবে অল্প দিনের মধ্যেই আমি শিক্ষকতা পেশা থেকে ওকালতিতে মনযোগ দিবো। এছাড়া আমি শিক্ষকতা করেই এলএলবি ও এলএলএম পাশ করেছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আইনজীবি জানান, গৌতম চন্দ্র মন্ডল মাদারীপুর আইনজীবি সমিতির ১৬৩ নং সদস্য। বর্তমানে এই সমিতির সদস্য সংখ্যা ২৭৫, তার মধ্যে তিনি অনেকের চাইতেই সিনিয়র। তবে সে কৌশলে আইন পেশা ও শিক্ষকতা দুটো পেশায়ই নিযুক্ত রয়েছে।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাশিদা খাতুন বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি ওই শিক্ষককে শিগগিরই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেব। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে অন্য লাভজনক পেশায় থাকার কোন সুযোগ নেই। উপযুক্ত প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
মাদারীপুর আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন লোকমান বলেন, সরকারি চাকরিরত অবস্থায় ওকালতি পেশায় থাকার সুযোগ নেই। যদি কেউ তথ্য ও প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ - dainik shiksha স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে - dainik shiksha শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0068521499633789