নীলফামারী সরকারী মহিলা কলেজটিতে দীর্ঘদিন ধরে দেখা দিয়েছে তীব্র শিক্ষক সংকট। আর এই তীব্র শিক্ষক সংকটের মধ্য দিয়েই চলছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা পাঠদান কার্যক্রম।
প্রতিষ্ঠানটিতে সৃষ্ট পদের সংখ্যা মোট ৩৩ জন। প্রভাষক পদ ১৯টি তার মধ্যে কর্মরত ৭ জন সহকারী অধ্যাপকের পদ ১১টি কর্মরত ৯ জন সহযোগী অধ্যাপকের পদ ৩ টি কর্মরত ২জন। প্রতিষ্ঠানটিতে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে মানবিক,ব্যবসায় শিক্ষ্, বিজ্ঞান, পাস কোর্স সহ ৫ বিষয়ে অনার্স কোর্স বাংলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস, দর্শন ও ইংরেজীতে প্রায় ৩৫০০ শিক্ষার্থীর পাঠদান কার্যক্রম চলছে। মাত্র ৭ জন প্রভাষক, ৯ জন সহকারী অধ্যাপক ও ২ জন সজযোগী অধ্যাপক দিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে এতগুলো শিক্ষার্থীদের ক্লাস পরিচালনা করায় বেশিরভাগ সময়েই তাদের হিমশিম খেতে হয়।
অনেক সময় দেখা যায় একজন শিক্ষক ৪-৫টি ক্লাস নিয়েও রুটিন অনুযায়ী ক্লাস সম্পন্ন করতে পারেন না। শিক্ষার্থীদের থাকতে হয় শিক্ষকের ক্লাসের জন্য অপেক্ষমান। নীলফামারী জেলার স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানটি আজ শিক্ষক স্বল্পতার কারণে হারাতে পারে তার ঐতিহ্য।
শুধু শিক্ষক সংকট নয় প্রতিষ্ঠানটিতে নানাবিধ সমস্যার কথাদৈনিকশিক্ষাডটকমকে তুলে ধরেন কলেজ অধ্যক্ষ আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী। তিনি বলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে ভুমি স্বল্পতার কারনে গড়ে উঠতে পারছে না নতুন কোন একাডেমিক ভবন সহ আবাসিক ভবন। ফলে সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা পাঠদান কার্যক্রম সহ আবাসিক সমস্যা। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন পূর্বে প্রতিষ্ঠানটি শুধু মাত্র ডিগ্রী কলেজ ছিল কিন্তু বর্তমানে ৫ বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু হলে দেখা দেয় তীব্র শিক্ষক সংকট।
কলেজটি শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত থাকায় তার আশ পাশে কোন ফাকা জায়গা নেই যে জমি ক্রয় করে সেখানে একাডেমিক ভবন গড়ে তোলা যাবে তাই বিকল্প হিসাবে, কলেজটিতে যে একাডেমিক ভবনগুলো আছে তা উর্দ্ধমূখী করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। তাই প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষক, একাডেমীক ভবন ও আবাসিক সংকট দূরীকরনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগীতা কামনা করছি।