শিক্ষার আগে নিরাপত্তা জরুরি - Dainikshiksha

শিক্ষার আগে নিরাপত্তা জরুরি

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

গোপালগঞ্জে শতাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদানের যে খবরটি শনিবার সমকালে প্রকাশিত হয়েছে, তা খুবই উদ্বেগজনক। সচিত্র ওই প্রতিবেদনে যে চিত্র ফুটে উঠেছে, তাতে প্রশ্ন দাঁড়ায়- অধিকাংশ ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণার পরও কেন ওইসব ভবনে পাঠদান করা হচ্ছে? বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় পরিত্যক্ত ভবনেই বাধ্য হয়ে পাঠদান করতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে- এই যুক্তি মেনে নেওয়া যাওয়া না। রোববার (২১ জুলাই) সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবেন্ধ এ তথ্য জানা যায়। 

জীবন কোনোভাবেই তুচ্ছতুল্য হতে পারে না। এর আগে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে হতাহতের মর্মন্তুদ ঘটনার নজির আমাদের সামনে রয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ নিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণের দায়িত্ব পালন করে এলজিইডি। অনেক ক্ষেত্রেই মানসম্মত নির্মাণকাজ হয় না এবং নির্দিষ্ট আয়ুসীমা অতিক্রমের আগেই এই অবকাঠামো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে- এমন নজির বিস্তর। শুধু গোপালগঞ্জের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোই নয়, সারাদেশে এমন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা কম নয়।

আমরা জানি যে, দৃশ্যপট অনেক ক্ষেত্রে বদলে গেছে। প্রত্যন্ত গ্রামেও এখন পাকা দালান উঠেছে। তবে বেশিরভাগ ভবনের অবস্থাই যে ভালো নয় তাও সংশ্নিষ্ট সবাই জানেন। নির্মাণত্রুটি ও আনুষঙ্গিক নানা কারণে অনেক ভবনই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি কতটা উদ্বেগজনক তা ব্যাখ্যার দরকার হয় না। আমরা এও জানি, ভবনগুলোর সংস্কার কিংবা নতুন ভবন নির্মাণ করার ক্ষেত্রে প্রশাসনিক প্রক্রিয়াগত বিষয়াদির বাইরেও রয়েছে আমলাতান্ত্রিক নানা জটিলতা। হাজার হাজার শিক্ষার্থীর জীবনের নিরাপত্তার প্রশ্ন যেখানে জড়িত, সেখানে কোনো দীর্ঘসূত্রতার সুযোগ নেই। সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হলো, যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। নিরাপত্তার অভাবে খোলা মাঠে কিংবা বারান্দায় পাঠদান কোনো সমাধান নয়। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর সংস্কার বা নির্মাণের ক্ষেত্রে জটিলতা-দীর্ঘসূত্রতার নিরসন করে নিরাপদ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতেই হবে। মনে রাখা দরকার, এ ক্ষেত্রে সামান্য শৈথিল্য প্রদর্শন কিংবা কালক্ষেপণ মারাত্মক বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকরাও বিষয়টি সম্যকভাবে অবগত আছেন বলেই আমাদের ধারণা। এসব ভবন সংস্কার-নির্মাণে অনিয়ম-ত্রুটি-দুর্নীতির যেসব অভিযোগ রয়েছে, তাও আমলে নিয়ে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি।

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.006199836730957