কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল থেকে শিবিরের ৪০ কর্মীকে বৃহস্পতিবার রাতে বের করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। এ ছাড়া অন্যান্য আবাসিক হল থেকেও শিবিরকর্মীদের বের করে দেওয়া হয়েছে। ইবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম জানিয়েছেন, কেন্দ্রের নির্দেশে হল থেকে শিবিরকর্মীদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। এটা অব্যাহত থাকবে।
বঙ্গবন্ধু হল সূত্রে জানা যায়, হল থেকে শিবিরকর্মীদের চলে যাওয়ার জন্য ২ আগস্ট ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার আলটিমেটামের শেষ দিন ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম গ্রুপের বিপুল খান, মুন্সি কামরুল হোসেন অনিক, মো. আদিত, মাহিদুলসহ ১০-১৫ নেতা-কর্মী বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে শিবির উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেন। রাত ১২টা পর্যন্ত হলের দেশীয় ব্লকের প্রায় সব কক্ষে অভিযান চালান তারা। অন্য হলগুলোতেও একই অভিযান চলছে।
তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিবিরকর্মীদের বের করে দেওয়ার নামে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও হয়রানি করছেন ছাত্রলীগ কর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। তাদেরও হল থেকে বের হয়ে যেতে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির ছাত্রমৈত্রীর আহ্বায়ক মো. মোর্শেদ হাবি বলেন, ‘গোলাম সরওয়ার নামে আমাদের এক কর্মীর সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীরা দুর্র্ব্যবহার করেছে। সে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।’
ইবি ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল রানা হালিম বলেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে এর আগে তিন শিবিরকর্মীকে মারধর করা হয়েছে এবং তাদের নির্দেশেই হল থেকে শিবিরকর্মীদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। এটা অব্যাহত থাকবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, হলে কে থাকবে, কে থাকবে না_ এটা হল প্রশাসনের বিষয়। ছাত্রলীগ এখানে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তবে হলে কেউ অবৈধভাবে থাকলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৯ আগস্ট শিবির সন্দেহে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ কর্মীরা মারধর করেন।