শিশুটিকে বার্ষিক পরীক্ষা দিতে দেয় নি স্কুল কর্তৃপক্ষ - Dainikshiksha

শিশুটিকে বার্ষিক পরীক্ষা দিতে দেয় নি স্কুল কর্তৃপক্ষ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি |

ঝিনাইদহ পৌর এলাকায় এক ছাত্রের বাবা তাঁর স্কুলের শিক্ষককে মারধর করায় ওই ছাত্রকে বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তবে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমানের দাবি, শিশুটির অভিভাবক এক শিক্ষককে মারধর করায় অন্য অভিভাবকেরা ওই শিশুর পরীক্ষা না নেওয়ার দাবি জানান। এ কারণে তাঁরা পরীক্ষা নিতে পারেননি। অবশ্য পরীক্ষা চলার সময় ওই শিশুর বাবাকে ফোন করে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা আসেননি।

শিশুর বাবা ঝিনাইদহ পৌর এলাকার ভুটিয়ারগাতি গ্রামের তাছের শেখ অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলে তাছলিম শেখ (৮) শহরের গোবিন্দপুর এলাকায় অবস্থিত আল ফারুক একাডেমিতে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ২৮ নভেম্বর দুপুরে তিনি খবর পান ছেলে স্কুলে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন তাছলিমের ঠোঁট কেটে রক্ত ঝরছে। অবস্থা দেখে তিনি শিক্ষকদের কাছে বিষয়টি জানতে চান। শিক্ষকেরা বলেন, পড়ে গিয়ে তার ঠোঁট কেটেছে।

তিনি আরও বলেন, কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর তাছলিম জানায়, খেলতে গিয়ে সে পড়ে যায়। পরে অঙ্ক ক্লাসে সে অসুস্থ বোধ করায় অঙ্ক করতে পারেনি। এতে ওই শিক্ষক তাঁকে মারধর করেন। এ কথা শুনে তিনি জড়িত শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে অন্য শিক্ষকেরা তাতে বাধা দেন। এ নিয়ে বচসার একপর্যায়ে তাঁর সঙ্গে থাকা ভাতিজা তৈফিক শেখ এক শিক্ষকের গায়ে হাত তোলেন। পরে তিনি ও তাঁর ভাতিজা ঘটনার জন্য ক্ষমা চান। এরপর ৩০ নভেম্বর তিনি স্কুলে যান ছেলের পরীক্ষার ফিস দিতে। কিন্তু ফিস না নিয়ে তাছলিমের পরীক্ষা নেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর। তবুও ৬ ডিসেম্বর পরীক্ষা শুরুর দিন তিনি ছেলেকে স্কুলে নিয়ে যান। কিন্তু তাকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। পরে পরীক্ষা শেষে মুঠোফোনে তাঁকে ছেলেকে নিয়ে আসতে বলা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনায় তিনি ১২ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।

প্রতিষ্ঠানের প্রধান মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর বলেন, ছেলেটির বাবা এক শিক্ষককে মারধর করায় সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাঁর দাবি, পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি এ কথা সম্পূর্ণ ঠিক নয়। ছেলের বাবা নিজেই প্রথমে পরীক্ষা দেওয়াতে চাননি। পরে পরীক্ষার দিন নিয়ে আসেন। তখন একটু সমস্যা হলেও পরে ডাকা হয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনা তদন্তে একজন এসআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ - dainik shiksha এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0040788650512695