মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদর হাট-বাজারের ময়লা আবর্জনায় ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে সরকারি আর এস কে এইচ ইনস্টিটিউশন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আশপাশ। সাপ্তাহিক দুটি হাট ও প্রতিনিয়ত বাজারের সমস্ত ময়লা-আবর্জনা অবাধে ফেলা হচ্ছে বিদ্যালয়ের আশপাশে ও পুকুরে। এতে যেমন দূষিত হচ্ছে বিদ্যালয়ের পরিবেশ তেমনই স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছে এলাকাবাসী।
সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মানার লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় হাট ও প্রতিদিনের বাজার সরকারি আর এস কে এইচ ইনস্টিটিউশন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে স্থানান্তর করেন। কিন্তু এই হাট-বাজারে কোনো পরিচ্ছন্ন কর্মী এবং আবর্জনা ফেলার ডাস্টবিন না থাকায় হাট-বাজরের যাবতীয় ময়লা-আবর্জনা অবাধে বিদ্যায়ের আশপাশ ও পুকুরে ফেলা হয়। এতে এডিস মশা জন্মানোর শঙ্কাও রয়েছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনার এই দুর্দিনে বিদ্যালয়ের তহবিল থেকে অর্থ ব্যয় করে একাধিকবার স্কুলের পুকুর ও আশপাশের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হলেও ময়লা ফেলা অব্যাহত থাকায় তা পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। এতে যেমন একদিকে পুকুর ভরাট হয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে তীব্র পচা দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম নাসিরুল ইসলাম বলেন, 'উপজেলা সদর বাজারের প্রতিদিনের কয়েক টন ময়লা-আবর্জনা স্কুলের আশপাশে ফেলা হচ্ছে। দিনে স্কুল থেকে পাহারার ব্যবস্থা করলেও রাতে এ ময়লা ফেলা হয়। ক্যাম্পাসের ভেতর এবং বাইরের এসব আবর্জনার দূর্গন্ধে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক সুস্থ পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।বিষয়গুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।'
বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী মো. আলাউল হক বলেন,'আমাদের ভালোবাসার পুকুরটিকে ডাস্টবিন বানানো হয়েছে। পুকুরের সঙ্গে কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আজ এই হাল দেখে দুঃখ লাগে। ব্যবসা করারর কারণে এখানে থাকতে হয়।'
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানূর রহমান জানান,'স্থানীয় সামাজিক সংগঠন ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ চলছে। তবে হাট-বাজার সরানোর নির্দেশনা এখনো আসেনি। আসলে আমরা সরিয়ে ফেলবো।'