রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার প্রপার হাইস্কুলের বইয়ের গুদামে রোববার রাতে আগুন দিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজের শ্রমিকেরা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। এতে অল্পের জন্য শ্রমিকেরা বেঁচে যান, রক্ষা পায় সহস্রাধিক সেট বই।
ওই বিদ্যালয়ের বহুতল ভবনের নির্মাণকাজের শ্রমিকদের দলনেতা আবদুর রাজ্জাক বলেন, প্রতিদিন তাঁরা কাজ শেষে বিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ও প্রধান শিক্ষকের কক্ষের পাশের একটি বড় কক্ষে (গুদাম) ঘুমান।
রোববার কাজ শেষে রাতে তিনিসহ রাজমিস্ত্রি সম্রাট, সহকারী হাফিজুল, জনি ও রহমান নামের পাঁচজন ঘুমিয়ে পড়েন। দিবাগত রাত তিনটার দিকে তিন-চারজন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত তাঁদের কক্ষের সামনে এসে দরজা খুলতে বলে।
দরজা না খোলায় তারা গালাগাল করে ফিরে যায়। মিনিট দশেক পর আবার এসে তারা বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় ও জানালার একটি পাল্লা খুলে তাঁদের (শ্রমিকদের) কাছে থাকা টাকা, মুঠোফোন ও পাম্প রাখার কক্ষের চাবি দিতে বলে। চাবি দিতে রাজি না হওয়ায় দুর্বৃত্তরা জানালা দিয়ে পেট্রল ছুড়ে মারে এবং পাটকাঠিতে আগুন ধরিয়ে ভেতরে ছুড়ে মারে।
এ সময় তাঁদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
ওই কক্ষে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ২০০ সেট বই ছিল। শ্রমিকেরা দ্রুত ঘরে থাকা বালতির পানি দিয়ে আগুন নেভান। এতে দু-একটি বইয়ের পৃষ্ঠা সামান্য নষ্ট হয়েছে। তবে অল্পের জন্য তাঁরা (শ্রমিকেরা) বেঁচে গেছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, জরুরি কাজে তিনি ঢাকায় রয়েছেন। এ ঘটনায় ঠিকাদারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রতন মিয়া বলেন, এখনো এ ধরনের কোনো সংবাদ কেউ তাঁকে জানাননি।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহজালাল বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।