আগামীকাল ১৪ মার্চ (বৃহস্পতিবার) স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন-২০১৯ অনুষ্ঠিত হবে। মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসায় স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচনে দেশের ২২ হাজার ৯৬১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদরাসায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মোট ১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৮টি পদের বিপরীতে মোট ৩ লাখ ২৪ হাজার ৮৩৭জন শিক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এতে মোট ভোটার ১ কোটি ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ৬১৮জন। এর মধ্যে ছাত্রী প্রায় ৫৫ শতাংশ। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় গাজীপুরের বেগম সুফিয়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। মন্ত্রণালয় সূত্র দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিকে বুধবার (১৩ মার্চ) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ৮ আগস্ট পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে প্রতিবছর এ নির্বাচন হয়ে আসছে। মন্ত্রী বলেন, শিশুকাল থেকে গণতন্ত্রের চর্চা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়াসহ কয়েকটি উদ্দেশ্য নিয়ে এ নির্বাচন করা হচ্ছে।
গত ২ মার্চ স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন ২০১৯ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। বিন্তু ওইদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা থাকায় তা স্থগিত করে ১৪ মার্চ নতুন দিন ঠিক করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চা তৈরি করতে ‘স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচনের’ আয়োজন করা হয়। এর মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চাসহ একে অপরকে সহযোগিতা করা, শ্রদ্ধা প্রদর্শন, শতভাগ শিক্ষার্থী ভর্তি ও ঝড়ে পড়া রোধে সহযোগিতা, পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ নিশ্চিতসহ ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।
জানা যায়, শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবে আট সদস্যের স্টুডেন্টস কেবিনেট। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো ছাত্রছাত্রী নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে। একজন ভোটার সর্বোচ্চ আটটি ভোট দেবে। এর মধ্যে প্রতি শ্রেণিতে একটি করে এবং যেকোনো তিন শ্রেণিতে সর্বোচ্চ দুটি করে ভোট দিতে পারবে। প্রতি শ্রেণি থেকে একজন করে প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে। পাঁচ শ্রেণিতে পাঁচজন নির্বাচনের পর তাদের মধ্য হতে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত তিনজন নির্বাচিত হবে।
স্টুডেন্টস কেবিনেটের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা প্রথম সভায় একজন প্রধান প্রতিনিধি মনোনীত করবে। একই সঙ্গে প্রত্যেকের দায়িত্ব বণ্টন এবং সারা বছরের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবে। পাশাপাশি প্রতিটি শ্রেণি থেকে দুজন করে সহযোগী সদস্য মনোনীত করতে হবে, যারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সহায়তা করবে। তাদের ভোটাধিকার থাকবে না।
প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ সংরক্ষণ (বিদ্যালয়, আঙিনা ও টয়লেট পরিষ্কার এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পুস্তক ও শিখন সামগ্রী, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সহপাঠ কার্যক্রম, পানিসম্পদ, বৃক্ষ রোপণ ও বাগান তৈরি ইত্যাদি দিবস ও অনুষ্ঠান উদযাপন, অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ন এবং আইসিটি) এই ৮টি প্রধান দায়িত্বে আটজন নির্বাচিত প্রতিনিধি দায়িত্ব পালন করবেন।