পৃথক অপরাধে এগারো জন শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ধরণের শাস্তি দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এদের মধ্যে একজন কর্মকর্তার বেতন ২ বছরের জন্য এবং অপর একজনের বেতন এক বছরের জন্য কমানো হয়েছে। এছাড়াও ৩ জন কর্মকর্তার বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি ২ বছরের এবং ১ জনের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি ১ বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া ৫ জন কর্মকর্তাকে তিরস্কার দণ্ড দেয়া হয়েছে। অর্থ আত্মসাৎ, বিনামূল্যের বই বিক্রিসহ বিভিন্ন অপরাধে তাদের শাস্তি দেয়া হয় বলে একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বিভাগীয় মামলায় নীলফামারীর ডোমার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার চলতি দায়িত্বে থাকা মো: আমির হোসেনকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ১৯৮৫ এর ৪(২)(ই) মোতাবেক বর্তমান বেতন স্কেলের নিম্নধাপে অবনমন দণ্ড প্রদান করা হয়েছে যা আগামি ২ বছরের জন্য বহাল থাকবে।
অপরদিকে নওগাঁর রাণীনগরে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার চলতি দায়িত্বে থাকা মো: আতাউর রহমানকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ১৯৮৫ এর ৪(২)(ই) উপবিধি মোতাবেক বর্তমান বেতন স্কেলের নিম্নধাপে অবনমন দণ্ড প্রদান করা হয়েছে, যা আগামি ১ বছরের জন্য বহাল থাকবে।
অপরদিকে মাগুরার মহম্মদপুরের সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: এনামুল হক, খুলনার ডুমুরিয়ার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ ফারুখ হোসেন এবং ঝিনাইদহ কালিগঞ্জের মো: মনোয়ার হোসেনের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি ২ বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া মাগুরার মহম্মদপুরের সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার বিশ্বাসের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি ১ বছরের জন্য স্থগিত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
এছাড়া কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আতিকুর রহমান, কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার চলতি দয়িত্বে থাকা মো: সেলিম মুন্সী, নোয়াখালী চাটখিলে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার চলতি দয়িত্বে থাকা বেগম নাছিমা আক্তার, কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মো: কামাল হোসেন এবং কুমিল্লার বুড়িচংয়ের সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বেগম নূরজাহান আক্তারকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ১৯৮৫ এর ৪(২)(এ) উপবিধি মোতাবেক তিরস্কার দণ্ড প্রদান করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।