২০১৭ সালে ঢাবি নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভাবনা - Dainikshiksha

২০১৭ সালে ঢাবি নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভাবনা

ঢাবি প্রতিনিধি |

বিদায় নিয়েছে ২০১৬। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে ঘটনাবহুল একটি বছর। বিগত বছরে বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাংকিং-এ উন্নয়ন, মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর স্বীকৃতিসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন কম ছিল না।

নতুন বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন, গবেষণা কার্যক্রম, শিক্ষকদের জন্য নীতিমালা, শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও লক্ষ্যমাত্রা, সাধারণ ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে প্রত্যাশা। এসব নিয়ে সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক

‘২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় নতুনভাবে যাত্রা করবে। প্রতিবছরে আমাদের অগ্রাধিকারের তালিকা থাকে। সেই অগ্রাধিকারের তালিকায় মহাকাশ বিজ্ঞান বিভাগসহ আরও কিছু নতুন বিভাগ খোলার চিন্তা রয়েছে। আমাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি করার চিন্তা ভাবনা আমরা করেছি। সেটা নিয়ে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করব। নতুন বিভাগের পাশাপাশি বর্তমান বিভাগগুলোর সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠে লেখাপড়া, গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং এ উন্নতি করার চেষ্টা থাকবে।’

একবিংশ শতাব্দী জ্ঞান বিজ্ঞানের যুগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জ্ঞান বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সব সময় এগিয়ে থাকতে হবে। আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের সেই মেধা এবং যোগ্যতা আছে আমরা সবসময় সেটি বিশ্বাস করি, শুধু তাদের সুযোগ দিতে হবে। আমরা সুযোগগুলো সম্প্রসারিত করার জন্য ২০১৭ তে আরও জোরালোভাবে কাজ করব।’

নতুন বছরে পদাপর্ণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সমস্যা সমাধান সম্ভব না হলেও বিদ্যমান অবস্থাকে আরও গতিশীল, যুগোপযোগী করার চেষ্টা করা হবে বলে জানান উপাচার্য।

অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল

‘২০১৬ সালে উচ্চ শিক্ষায় আমরা অনেকদূর এগিয়েছি, আমাদের আরও এগুতে হবে। বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের আরও বেশি গবেষণা, উদ্ভাবন বাড়াতে হবে। সেজন্য আমাদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।’ এ ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

নতুন বছরে উচ্চশিক্ষাকে একটি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসা মূল লক্ষ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও বেশি শৃঙ্খলার মধ্য নিয়ে আসা এবং শিক্ষকদের জন্য প্রমোশন, রিক্রুমেন্ট, উচ্চ শিক্ষার জন্য ছুটিসহ সব কিছুর একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করা হবে প্রধান কাজ।’

আবিদ আল হাসান

২০১৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ প্রথমবারের মতো আয়োজন করে হল সম্মেলনের। পাশাপাশি বাংলা নববর্ষবরণ ও ভর্তিচ্ছুদের সহযোগিতা, ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতায় কর্মসূচি গ্রহণ করে প্রশংসিত হয় ছাত্রলীগ। ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া ছাত্র সংগঠনটি সাধারণ ছাত্রদের জন্য আরও ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করতে চায়।

ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, নতুন বছরে ঢাবি ছাত্রলীগকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাতারে নিয়ে যেতে চাই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে এবং তাদের অধিকার রক্ষায় যত ধরনের কাজ করা দরকার সব কিছু করার চেষ্টা করবে ছাত্রলীগ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে দলমত নির্বিশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের সঙ্গে একই কাতারে দাঁড়াবে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘২০১৬ সালের মতো একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই, যেখানে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট হয় বা সংঘাতের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার মতো কোনো কাজ সংগঠিত হবে না। সাধারণ ছাত্রদের পড়াশোনার জন্য লাইব্রেরির আসন সংকট সমস্যার সমাধান হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সব সদস্য নিরাপদে থাকবে।’

ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মাহফুজা মমতাজ মিলি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে অর্ধেক ছাত্রী। মেয়েদের জন্য রয়েছে মাত্র ৫টি হল। যা ছাত্রী সংখ্যার তুলনায় খুবই অপ্রতুল। অধিকাংশ মেয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে আবাসন সমস্যায় ভোগে। ছেলেদের মতো হলের গণরুম, মেস কিংবা বাসা খুঁজে নিতে পারে না।

ছাত্রীদের আবাসন সমস্যা, নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি প্রশাসনের আরও বেশি নজর দেওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

পাশাপাশি ২০১৭ সালে দেশ ও দেশের মানুষের আশা পূরণ করে প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় সামনের দিকে আরও এগিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি - dainik shiksha কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034160614013672