পদ রয়েছে ৬ জনের, নিয়োগ পেয়েছেন ১৭ জন আর এমপিওভুক্ত হয়েছে ১৪ জনের। এমনই ঘটনা ঘটেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর নিম্নমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে।
জানা গেছে, উপজেলার জামালপুর নিন্মমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ইতোমধ্যেই ১৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে মোহাম্মদ শফিকুল আলম, অসীম কুমার দাস, নিরাপদ চাকী, নমিতা রানী শিকদার, প্রভাস কুমার পাল, মমতাজ মহল, মায়া রানী সাহা, অলোকা রানী দেবনাথ, মো. কামরুল হাসান, অনুজ কুমার সরকার, মো. মোজাফফর আহম্মেদ, কল্পনা রানী দাস, জুলেখা খাতুন, মো. সাইফুল ইসলামের এমপিও ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। তবে কিভাবে একটি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৪ জন শিক্ষকের এমপিও হলো তা নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে জামালপুর নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেন, বিদ্যালয়টি ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। শিক্ষক রয়েছে ১২ জন এবং কর্মচারী ৫ জন। এদের মধ্যে এমপিও হয়েছে ১৪ জন। শিক্ষার্থী রয়েছে ৪০১জন। তবে এমপিও সিট ছাড়া স্বপক্ষে কাগজপত্র দেখতে চাইলেও তিনি কোন কিছু দিতে পারেননি।
তিনি বিদ্যালয়ের কোন শাখা নেই উল্লেখ করলেও পরবর্তীতে বলেন, ৬ষ্ট শ্রেণীতে শাখা রয়েছে। তবে নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কিভাবে ১৪ জন শিক্ষকের এমপিও হলো তার সঠিক উত্তর দিতে পারেননি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার কাজী এজাজ কায়সার বলেন, নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ জন শিক্ষক নিয়োগের বিধান রয়েছে।
তবে কিভাবে ১৪ জন শিক্ষকের এমপিও হলো তা আমার জানা নেই। এটা আমাদেরও কিছু করার নেই।
রাজবাড়ী জেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) শামসুন্নাহার চৌধুরী বলেন, নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ ৮ জন শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারেন। কিভাবে ১৪ জন শিক্ষকের এমপিও হলো সেটা দেখার বিষয়। অফিসে আসলে আরও বিস্তারিত তথ্য দিতে পারব। এ ধরনের অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।