রাজধানীর কয়েকটি স্কুল অতিরিক্ত ভর্তি, উন্নয়ন, সেশনসহ নানাবিধ ফি আদায় সংক্রান্ত বিষয়ে ‘কড়া’ হুশিয়ারি ও ‘কঠোর’ মনোভাব ব্যক্ত করবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। ফটো সেশনের জন্য মন্ত্রীর ঠিক পেছনে বসবেন পিএস যুগ্ম-সচিব নাজমুল হক খান ও ৯ বছর যাবত শিক্ষা মন্ত্রণালয়েই চাকুরি করা সুবোধ চন্দ্র ঢালী। পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনে মন্ত্রীর অতি নিকটে থাকার ছবি দেখানো গেলে তদবির বাণিজ্য জমজমাট হয় বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।
মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার সকালে দৈনিকশিক্ষাডটকমকে জানান, ভর্তি ফি বিষয়ে মন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে জরুরিভিত্তিতে আজ সকাল ১১টায় সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে কথা বলবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইনসহ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ‘কঠোর’ মনোভাবাপন্ন সবাই।
মূলত ‘মিডিয়া ট্রায়ালের’ জন্যই এ আয়োজন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। বলা হবে, অতিরিক্ত ফি আদায়কারীদের শিক্ষাথীদের পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে দেওয়া হবে না, এমপিও বন্ধ করা হবে, মন্ত্রণালয়ের কোনও সভায় নিমন্ত্রণ জানানো হবে না ইত্যাদি।
ভুক্তভোগী অভিভাকদের মতে, ভর্তি সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের নিয়মনীতি না মানা রাজধানীর এসব বিদ্যালয়গুলোর অধিকাংশই নামকরা এবং ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, একাধিক এমপি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ মস আরেফিন সিদ্দিকও ও শিক্ষাকে ব্যবসায় পরিণত করা হীন চক্রান্তে লিপ্ত ক্যামব্রিয়ান, কুইন্স ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের মালিক বাশার। বিমানমন্ত্রীর কথিত ভাতিজা, পিএস, এপিএস ইত্যাদিরা এসব বাণিজ্যে নিয়োজিত রয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
তাই মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরের তদন্ত কর্মকর্তারাও খুব একটা সাহস করেন না প্রকৃত তথ্য উদঘাটনে বা শাস্তিমূলক সুপারিশ করতে। তদন্ত কর্মকর্তাদের নিজেদেরও তদবির থাকে এসব প্রতিষ্ঠানে ছেলে-মেয়ে বা আত্মীয়স্বজন ভর্তির জন্য। ক্যামব্রিয়ানে ভতি করা হয় মন্ত্রণালয়ে চাকুরিরত আমলাদের ‘উচ্ছন্নে’ যাওয়া ছেলেমেয়েদের। কায়দা করে জিপিএ ফাইভও পেয়ে যান এসব ছাত্র-ছাত্রীরা! ক্যামব্রিয়ানের টাকায় মন্ত্রণালয়ের কতিপয় কমকতাদের সমিতির উন্নয়ন, পিকনিক ইত্যাদি পালন হয়।
ভিকারুন নিসা, আইডিয়াল, উইলস লিটল, উদয়নসহ কয়েকটি স্কুলে বেপরোয়া ফি আদায় ও ভর্তি করছে কাউকে তোয়াক্কা না করে। প্রতিবাদে অভিভাবকদের রাস্তা অবরোধসহ নানা ঘটনা ঘটছে।
আজকের সংবাদ সম্মেলনে কড়া কথা হবে। ইশারা ইঙ্গিতে বিমান মন্ত্রী, উপাচার্য ও এমপিদের ভর্তি বাণিজ্যে ও অতিরিক্ত ফি আদায় বাণিজ্যে সায় থাকার তথ্য ফাঁস করা হবে। সংবাদ মাধ্যমে বড় বড় খবর প্রকাশ হবে।