অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে জালিয়াতি করে এমপিওভুক্তির অভিযোগ - দৈনিকশিক্ষা

চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজঅধ্যক্ষের বিরুদ্ধে জালিয়াতি করে এমপিওভুক্তির অভিযোগ

গাজীপুর প্রতিনিধি |

গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়মের বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো তিনি কাগজপত্র জাল করে এমপিওভুক্ত হয়েছেন। এ ছাড়া কোচিং ও গাইড বই বাণিজ্য, ভুয়া ভোটার তালিকা করে ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন ভণ্ডুলসহ ‘ছোটখাটো’ অনেক অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে বেশির ভাগ অভিযোগই অস্বীকার করেছেন তিনি।

মজিবুর রহমানের নামে গত ২২ মার্চ ও ১৯ মে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর দুটি আলাদা লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়।

এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে একাদশ শ্রেণির (মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা) কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগে কারিগরি শাখা (মাধ্যমিক) চালু হয় ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে। এর চার বছর পর কারিগরিতে চালু হয় বিজনেস ম্যানেজমেন্ট (বিএম) শাখা। বিএমকে বোঝার স্বার্থে উচ্চ মাধ্যমিকের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে।

পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য আমিনুল ইসলাম জানান, ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে একাদশ শ্রেণির (মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা) অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হয় মুজিবুর রহমানকে। কিন্তু ওই সময় থেকে নতুন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের এমপিও বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারিতে হঠাৎ এমপিওভুক্ত হন অধ্যক্ষ। এ নিয়ে সবার সন্দেহ হয়। পরে  জানা যায়, বিএম শাখার অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগপত্র দাখিল করে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে তিনি এমপিওভুক্ত হয়েছেন। এ ক্ষেত্রে নিয়োগপত্র, নিয়োগ ও বাছাই কমিটির সদস্য এবং স্কুল পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী, সাধারণ শাখার (মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা) অধ্যক্ষ একই সঙ্গে কারিগরি প্রতিষ্ঠানের প্রধান হতে পারেন না।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের উপপরিদর্শক মো. আবদুল হান্নান বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের জন্য তাঁরা কোনো নিয়োগ কিংবা বাছাই কমিটি করেননি। প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদ কোনো আবেদনও করেনি। অধ্যক্ষ কিভাবে নিয়োগ কিংবা বাছাই কমিটি দেখিয়ে এমপিওভুক্ত হলেন তা তদন্ত করে দেখা হবে।

অভিভাবক সদস্য সাইদুর রহমান জানান, দুই বছর আগে ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে লাগানো সিসি ক্যামেরা, আঙুলের ছাপে হাজিরা মেশিন এবং নিজস্ব সফটওয়্যার তৈরি করা হলেও এগুলো অকেজো।

সরকারের কয়েক কোটি টাকার কম্পিউটার ল্যাবও অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে। এ বছর অষ্টম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন ফি ৬০ টাকার পরিবর্তে তিনি আদায় করেছেন ১০০ টাকা। আয়-ব্যয়ের হিসাবের সমন্বয় না থাকায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরের হিসাব গভর্নিং পরিষদ অনুমোদন করেনি।

এমপিওভুক্তিতে জালিয়াতির অভিযোগ প্রথমে অস্বীকার করেন মো. মুজিবুর রহমান। তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরে বলেন, ‘কিছুটা অনিয়ম হয়েছে। এ নিয়ে লেখালেখি হলে আমার ক্ষতি হবে। আমি দেশের বাইরে যাচ্ছি। ফিরে সবার সঙ্গে সমঝোতা করব।’ অন্যান্য অভিযোগও সত্য নয় বলে দাবি করেন তিনি।

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0087292194366455