অনুমোদনহীন সান্ধ্যকালীন কোর্স ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে - দৈনিকশিক্ষা

অনুমোদনহীন সান্ধ্যকালীন কোর্স ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

এখনই বন্ধ হচ্ছে না পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় চলা সান্ধ্যকালীন কোর্স। দেশের ৫০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪২টিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে। এর মধ্যে নয়টিতে নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে সান্ধ্যকালীন কোর্স, উইকএন্ড কোর্সসহ বিভিন্ন কোর্স চালানো হচ্ছে। অথচ এ বিষয়ে কোনো পূর্বানুমতি নেওয়া হয়নি। অনুমোদন ছাড়াই এসব কোর্স চালানো হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে সার্টিফিকেট। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন সাব্বির নেওয়াজ।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন কোনো বিষয় বা বিভাগ খোলা, কোর্স কারিকুলাম ও জনবলের অনুমোদন দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক কামাল হোসেন  বলেন, আমাদের কাছে থাকা তথ্যমতে নয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নিয়মিত শিক্ষার বাইরে বিভিন্ন ধরনের কোর্স পরিচালনা করছে। এসব কোর্স পরিচালনার জন্য ইউজিসি থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। ইউজিসি থেকে দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে সান্ধ্যকালীনসহ সব কোর্স বন্ধের চেষ্টা করা হচ্ছে। সর্বশেষ রাষ্ট্রপতির আহ্বানের পর আমরা সব বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি।

ইউজিসির তথ্য অনুসারে, সান্ধ্যকালীন ও অন্যান্য কোর্স পরিচালনাকারী নয়টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

জানা যায়, রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চ্যান্সেলরের আহ্বানের পর জগন্নাথ ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। তবে বাকিরা গা করছে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাধিক সূত্রমতে, এসব কোর্স পরিচালনার মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের অর্থের যোগ থাকায় সংশ্নিষ্ট শিক্ষকরা এ বিষয়ে কথা বলছেন না। আবার এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ শিক্ষক রাজনীতির বিষয়টিও যুক্ত থাকায় উপাচার্যরা এ বিষয়ে নাড়াচাড়া করতে অনেকটাই নারাজ। ইউজিসি থেকে যথাযথভাবে অনুমোদন না নিলেও সান্ধ্য কোর্স পরিচালনাকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের নিজ নিজ একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের অনুমোদন নিয়েই তা চালু করেছে বলে জানা যায়।

৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম সমাবর্তনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন (ইভিনিং) কোর্সের বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করে তা বাতিলের অনুরোধ করেন রাষ্ট্রপতি। এর দু'দিন পর কোর্স বাতিলে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানায় ইউজিসি। ওই চিঠিতে বলা হয়, সান্ধ্য কোর্স পরিচালনা করা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশিষ্ট্য ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে বিধায় সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধ হওয়া দরকার।

ঢাবিতে চালু আছে ৮০টি কোর্স : ঢাবিতে সান্ধ্য কোর্স চালু হয় ২০০২ সালে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে। ওই সময় অনুষদের চারটি বিভাগে সান্ধ্য কোর্স চালু হয়। তবে এখন তা অনেকগুণ বেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৪২টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে ইভিনিং মাস্টার্স, ডিপ্লোমা কোর্স, প্রফেশনাল কোর্স, স্পেশালাইজড মাস্টার্স, এক্সিকিউটিভ মাস্টার্সসহ বিভিন্ন নামে প্রায় ৮০টি কোর্স চালু রয়েছে। এগুলো সবই নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে।

ঢাবি উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আমাদের সান্ধ্যকালীন, প্রফেশনাল, এক্সিকিউটিভ বিভিন্ন কোর্স সংক্রান্ত বিষয়ে ২০১৮ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে রাষ্ট্রপতি এক ধরনের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তার আলোকে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি। রাষ্ট্রপতির সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কোর্সগুলো পর্যালোচনার জন্য মে মাসে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক তোফায়েল আহমদ চৌধুরীকে প্রধান করে পাঁচটি অনুষদের ডিনের সমন্বয়ে কমিটি করা হয়েছে। আশা করি, শিগগির সেই কমিটির সুপারিশ পেয়ে কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে পারব। ইউজিসির নির্দেশনার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, শুধু সান্ধ্যকালীন বিষয়টি বললেই হবে না, এখানে প্রফেশনাল, এক্সিকিউটিভসহ বিভিন্ন বিষয় আছে। সেগুলো নিয়মনীতি অনুসরণ করেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা ও জাতীয় প্রয়োজন বিবেচনা করেই পরিশীলিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

আর এ-সংক্রান্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক তোফায়েল আহমদ বলেন, প্রতিবেদন দিতে সময় লাগবে। তিনি ইঙ্গিত দেন, এই কোর্স পুরোপুরি বন্ধ না হয়ে কাঠামোর মধ্যে চলতে পারে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় :জাবিতে ২০১১ সালে একটি ইনস্টিটিউটে এ কোর্স চালু করা হয়। বর্তমানে এর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮টিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এসব সান্ধ্যকালীন কোর্স খোলা হচ্ছে।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের চারটি বিভাগেই সাপ্তাহিক এ কোর্স চালু আছে। এ ছাড়া আরও ১২টি বিভাগ ও দুটি ইনস্টিটিউটে এ কোর্স রয়েছে। ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং, মার্কেটিং, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ, পরিবেশ বিজ্ঞান, ভূগোল ও পরিবেশ, লোকপ্রশাসন, ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি), গণিত, সরকার ও রাজনীতি, অর্থনীতি, ইংরেজি, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও পরিসংখ্যান বিভাগেও এ কোর্স চালু রয়েছে। সর্বশেষ গত বছর রসায়ন বিভাগ সাপ্তাহিক কোর্স চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ কোর্স চালুর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন। বাধ্য হয়ে সে বছর ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়। তবে গত ২৫ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছর পদার্থবিজ্ঞান বিভাগও এ কোর্স চালু করে। এ ছাড়া আরও কিছু বিভাগ সান্ধ্যকালীন কোর্স চালুর জন্য আবেদন করেছে বলে জানা গেছে।

সাধারণত বিভিন্ন পেশায় থাকা শিক্ষার্থীরা এ কোর্স ১০ মাস থেকে দুই বছরের মধ্যে শেষ করেন। এসব কোর্স শেষ করতে একজনকে ৮০ হাজার থেকে শুরু করে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত গুনতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী, সাপ্তাহিক এসব কোর্স থেকে আয়ের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ টাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দেওয়ার কথা। কিন্তু অনেক বিভাগই তা দেয় না।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আমির হোসেন বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সান্ধ্যকালীন কোর্স নেই। চলছে উইকএন্ড কোর্স। সপ্তাহে দু'দিন। এই কোর্স নিয়ে রাষ্ট্রপতি এবং ইউজিসি কিছুই বলেননি। তাই এই 'উইকএন্ড' কোর্স বন্ধ নিয়ে আমরা কিছু ভাবছি না।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় :এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৩ সালে আইবিএতে প্রথমে সান্ধ্যকালীন কোর্স শুরু হয়। পরে ধীরে ধীরে পাঁচটি অনুষদে এই কোর্স চালু হয়েছে। ৩২৭ শিক্ষক সান্ধ্যকালীন কোর্সে পাঠদানে নিয়োজিত। বিজনেস ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক হুমায়ুন কবির বলেন, কোর্স চালু থাকবে কি-না এ বিষয়ে শিক্ষকদের মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়টি অনুষদ ও ছয়টি ইনস্টিটিউটের মধ্যে পাঁচটি অনুষদের ১৬টি বিভাগ ও চারটি ইনস্টিটিউটে সান্ধ্য কোর্স চালু আছে। কোর্সগুলোতে বিভাগ অনুযায়ী ৪৭ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। ২০১০ সালে আইন অনুষদে এক বছর ও দু'বছর মেয়াদি কোর্স চালু হয়। এক বছর মেয়াদি কোর্সে ৯০ হাজার এবং দু'বছর মেয়াদিতে এক লাখ ১৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়। ২০১৫ সালে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ছয়টি বিভাগে সান্ধ্য কোর্স চালু হয়। অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোতে ৯০ হাজার থেকে এক লাখ ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। চলতি বছরে নতুন করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ সান্ধ্য কোর্স চালু করেছে। ব্যবসায় অনুষদভুক্ত ছয়টি বিভাগের সব ক'টিতেই রয়েছে সান্ধ্য কোর্স। বিজ্ঞান অনুষদে ২০১৬ সাল থেকে শুধু গণিত ও পরিসংখ্যান বিভাগে এক বছর এবং দু'বছর মেয়াদি কোর্স চালু আছে। প্রকৌশল অনুষদে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে এই কোর্স চলছে। কোর্স ফি এক লাখ ২০ হাজার টাকা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এমএ বারী বলেন, সান্ধ্য কোর্স বা অন্যান্য কোর্স তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করা সম্ভব নয়। বিভাগ, অনুষদ, একাডেমিক কাউন্সিল এবং সর্বশেষ সিন্ডিকেট- এমন কয়েকটি ধাপ শেষ করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আর উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বলেন, ইউজিসি অনুরোধ জানিয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে ভাবছি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় :চট্টগ্রাম শহরে ভবন ভাড়া নিয়ে সান্ধ্যকালীন কোর্স পরিচালনা করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ব্যবসায় অনুষদের তত্ত্বাবধানে এই কার্যক্রম চলছে। তবে এ কোর্স বন্ধের ইঙ্গিত দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিন আখতার। তিনি বলেন, এখনও ইউজিসির চিঠি পাইনি। যেহেতু রাষ্ট্রপতি সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধের বিষয়ে বলেছেন, এ কারণে এই কোর্স বন্ধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে যারা ভর্তি হয়েছে, সেগুলো চলমান থাকবে।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১২ সালে চালু হয় সান্ধ্য কোর্স। শিক্ষার্থী চার শতাধিক। ৫০ শিক্ষক এ কোর্সে পাঠদান করেন। ২০১২ সালে প্রথম সান্ধ্যকালীন এমবিএ কোর্স চালু করা হয়। অ্যাকাউন্টিং, ম্যানেজমেন্ট, ফাইন্যান্স, মার্কেটিং, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এবং ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগগুলোর সম্মিলিত ২০টি কোর্স নিয়ে চলে এটি। বর্তমানে দুই সেমিস্টারে প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী এই কোর্সে এমবিএ করছেন।

ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী মনিরুজ্জামান বাবু বলেন, সান্ধ্যকালীন কোর্সের কারণে বর্তমান শিক্ষার্থীরা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। সান্ধ্যকালীন কোর্সের ক্লাস নেওয়ার জন্য দুপুর ১টা বাজলেই শিক্ষকরা ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। সেখানে ক্লাস করালে টাকা বেশি। অনেক সময় পরীক্ষা চলে আসে, তবুও কোর্স শেষ করতে পারেন না শিক্ষকরা।

চবির সান্ধ্যকালীন এমবিএ কোর্সের পরিচালক ও ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সান্ধ্যকালীন কোর্সের কারণে সেশনজটের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন ড. এএফএম আওরঙ্গজেব বলেন, সান্ধ্যকালীন কোর্সে পর্যায়ক্রমে ক্লাস নেন ৫০ জনের মতো শিক্ষক। সেটার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কম। তার পরও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে যদি নির্দেশনা আসে, তা হলে সেটা বন্ধ করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নুর আহমদ বলেন, একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এটি চালু হয়েছিল। তাই হঠাৎ বন্ধ করা যাবে না। ইউজিসির নির্দেশনা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করতে রাজি :রাষ্ট্রপতির আহ্বানের পর দেশের দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এ কোর্স বন্ধ করতে রাজি হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সান্ধ্যকালীন কোর্সে নতুন করে আর কোনো শিক্ষার্থীকে ভর্তি না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। জবির এ-সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সান্ধ্যকালীন প্রোগ্রামে নতুনভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি না করার অনুরোধ করা যাচ্ছে। তবে সান্ধ্যকালীন প্রোগ্রামে যেসব শিক্ষার্থী ইতোমধ্যেই ভর্তি করা হয়েছে, তাদের কোর্স সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না।

কুমিল্ল বিশ্ববিদ্যালয়েও সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইউজিসির নির্দেশনা মেনে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আবু তাহের জানান, যাদের কোর্স চলমান রয়েছে, তাদেরটা শেষ করা হবে। তবে নতুন কোনো ব্যাচে সান্ধ্যকালীন কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে না।

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.003464937210083