গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে বাঁশবাড়ীয়া উজানী কাশালিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগে ১০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রধান শিক্ষকসহ অন্যদের যোগসাজশে ঘুষ নিয়ে অযোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. ফরিদ আহম্মেদ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, বাঁশবাড়ীয়া উজানী কাশালিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পরীক্ষা হয় গত ২২ জুন। পরীক্ষায় ৯ জন প্রার্থী অংশ নেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাম্মি আক্তার প্রার্থী তন্ময় সরকারকে ঘুষের বিনিময়ে পরীক্ষার প্রশ্ন সরবরাহ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানতে পেরে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. ফরিদ আহম্মেদ এ সম্পর্কে মুকসুদপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করেন। কিন্তু তড়িঘড়ি করে ১৬ অক্টোবর আংশিক রেজুলেশনের মাধ্যমে ওই প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়ে পরদিন তাকে যোগদানপত্র দেয়া হয়। সেই রেজুলেশনের প্রতিবাদ জানিয়ে স্কুল ম্যানিজিং কমিটির সাত জন সদস্য কমিটির সভাপতি ও সদস্য সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. মিজানুর রহমান সোহেল বলেন, ওই প্রার্থীকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির পূর্ব পরিকল্পনা ছিল। পরীক্ষার দিনই ফল প্রকাশ করার কথা থাকলেও এক মাস পর গোপনে ফোনের মাধ্যমে রেজাল্ট জানিয়ে পরদিনই নিয়োগপত্র দেয়া হয়।
ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি মো. ফরিদ মোল্লা বলেন, স্কুলের দুই শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠানের এজেন্ডায় সভা আহ্বান করে সেই সভায় জোর করে নিয়োগ সংক্রান্ত রেজুলেশন করা হয়। অন্যান্য সদস্যরা প্রতিবাদ করায় স্কুল ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি দেড় মাসের জন্য সকল শিক্ষককে স্কুল থেকে প্রদেয় সুযোগ বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এব্যাপারে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাশালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল হক বলেন, যথাযথ নিয়ম মেনেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এখানে কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন হয়নি। আর প্রধান শিক্ষক সাম্মি আক্তার তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিয়ম মেনেই ওই প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। টাকা নেয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
জেলা শিক্ষা অফিসার খায়রুল আনাম মো. আফতাবুর রহমান হেলালী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।