অবসর ও কল্যাণের চাঁদার হার বাড়ছে না : শিক্ষাসচিব - দৈনিকশিক্ষা

অবসর ও কল্যাণের চাঁদার হার বাড়ছে না : শিক্ষাসচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড এবং কল্যাণ ট্রাস্টের চাঁদার হার বৃদ্ধি করা হচ্ছে না। আগের মতো মোট ৬ শতাংশই থাকবে। সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে টেলিফোনে এ তথ্য জানান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো: সোহরাব হোসাইন। এর আগে সোমবার বিকেলে অবসর সুবিধা বোর্ডের চাঁদার হার ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬ শতাংশ এবং কল্যাণ ট্রাস্টের চাঁদার হার ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪ শতাংশ করার আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব। এতে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে চাঁদার হার বাড়ানোর কথা বলা হয়েছিল।

উপসচিব মো. কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিটি ভুলক্রমে দেয়া হয় বলে সোহরাব হোসাইন দৈনিক শিক্ষাকে জানান। তিনি বলেন, "অবসর ও কল্যাণের চাঁদার হার বৃদ্ধির একটি তাগাদা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে দীর্ঘদিন যাবত দেয়া হচ্ছে। কিন্তু আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়কে সাফ জানিয়ে দিয়েছি শিক্ষকদের কল্যাণে সবকিছু করা হবে। চাঁদার হার বৃদ্ধির বিষয়ে শিক্ষকদের আপত্তি রয়েছে, তাই অর্থ মন্ত্রণালয়ের বারবার তাগাদা  সত্ত্বেও অবসর ও কল্যাণের চাঁদা বৃদ্ধি করা হবে না।"

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ফের তাগাদাপত্র আসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। ওই চিঠি দেখে হয়তো সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে ভুলক্রমে আজকের আদেশটি জারি করা হয়ে থাকতে পারে। বিষয়টি নজরে আসার পর ওই আদেশটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।’ 

শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করা ছাড়া কখনোই এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না বলেও সচিব জানান। 

অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘চাঁদার হার বৃদ্ধির গেজেট তো স্থগিত করা হয়েছে আগেই। এখন আবার নতুন করে আদেশ দেয়া হঠকারী, শিক্ষকরা এ আদেশ মেনে নেবেন না।’ 

উল্লেখ্য, এর আগে অবসর  ও কল্যাণ ট্রাস্টের বোর্ড সভায় উপস্থিত শিক্ষক নেতাদের সম্মতিক্রমে গত ১৫ জুন অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের চাঁদা বাড়িয়ে ১০ শতাংশে উন্নীত করে গেজেট জারি করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু সারাদেশে শিক্ষক সংগঠনের আন্দোলনের মুখে গেজেটটি বাতিল করা হয়। 

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও থেকে প্রতিমাসে এই ৬ শতাংশ টাকা কেটে রাখা হয়। টাকাগুলো ব্যাংকে জমা থাকে এবং এর সঙ্গে সরকার আরও টাকা যোগ করে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের এককালীন অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা দিয়ে থাকে। তবে অবসর ও কল্যাণের টাকা হাতে পেতে বছরের পর বছর ঘুরতে হয় তাদের। কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা কোন ব্যাংকে জমা রাখা হয় আর সুদ কত পায় এবং কে খায়, তার কোনও হিসেব নেই।

২০০২ খ্রিস্টাব্দে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা আইন প্রণয়ন করা হয়। আর এ আইনের অধীনে প্রবিধান প্রণীত হয় ২০০৫ খ্রিস্টাব্দের ৮ জানুয়ারি। তখন থেকে অবসর সুবিধার চাঁদা হিসেবে বেসরকারি শিক্ষকদের বেতনের ৪ শতাংশ কেটে নেয়া হচ্ছে। 
অপর দিকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে প্রণয়ন করা হয়। এ আইনের অধীনে ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে প্রবিধান প্রণীত হয়। প্রবিধানে শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের চাঁদা হিসেবে বেসরকারি শিক্ষকদের বেতনের ২ শতাংশ কেটে নেয়ার কথা বলা হয়। 

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0071721076965332