খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজে গত ৬ আগস্ট পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় কলেজ ক্যাম্পাসে স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতিতে সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত সবার সম্মতিক্রমে ঘটনায় ইন্ধনদাতা ও জড়িত ছাত্রদের খুঁজে বের করার জন্য ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাছাড়া আগামীকাল শনিবার থেকে ক্লাস চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি সংঘাতমুক্ত ক্যাম্পাস গঠনের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য কলেজের ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দীঘিনালাবাসীর শিক্ষা, শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে বৈঠকে উপস্থিত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারা জানিয়েছেন।
দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মন্টু বিকাশ চাকমার সভাপতিত্বে বৈঠকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নব কমল চাকমা, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহফুজুল হক, দীঘিনালা থানার ওসি মো. শামসুদ্দীন ভূঁইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক শতরূপা চাকমা, ব্যবসায়ী নেতা আলহাজ মো. জসিম, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি (সমীরণপন্থি) শামসুল হক, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাহাবুব আলম, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ সভাপতি রাজ্যময় চাকমা, এম এন লারমা সমর্থিত যুব সমিতির সভাপতি সমীর চাকমা, উপাধ্যক্ষ তরুণ কান্তি চাকমা, সহকারী অধ্যাপক দীলিপ চৌধুরী, কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য সুপ্রিয় চাকমা, নলেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সাধন চন্দ্র চাকমা ও দীঘিনালা প্রেস ক্লাব সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রাজু বক্তব্য রাখেন।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলেজ ক্যাম্পাসে সংঘাতের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বক্তারা বলেন, উপজেলার সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের সংঘাত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই আগামী দিনে কলেজের শান্তি-শৃঙ্খলার স্বার্থে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছাত্র ও ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
গত ৬ আগস্ট সকাল ১০টায় দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজে মৃণাল চাকমার গায়ে ইব্রাহিমের ধাক্কা লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি-বাঙালি ছাত্ররা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে কলেজের অধ্যক্ষ মন্টু বিকাশ চাকমা ও পুলিশসহ ১২ জন আহত হয়।