সাতক্ষীরার আশাশুনি সরকারি কলেজ অধ্যক্ষকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে ছাত্রলীগ কর্মীরা। অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান এ ঘটনার পর সাতক্ষীরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এছাড়াও তারা অধ্যক্ষের কক্ষ ভাংচুরও করেছেন বলে জানা যায়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন সারাদেশের বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজ শিক্ষকরা। সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
অধ্যক্ষ জানান, তিনি শনিবার সন্ধ্যায় কয়েক সহকর্মীকে নিয়ে অফিসকক্ষে কাজ করছিলেন। এ সময় এক যুবক এসে তাকে সালাম দিয়ে একটু রুমের বাইরে আসতে বলে। বাইরে আসার পরপরই তার সামনে আরেকটি ছেলেকে তারা মারধর করতে থাকে। এর কারণ জানতে চাইলে তারা জানায়, সে সাতক্ষীরা থেকে একটি মেয়েকে এনে কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে অনৈতিক আচরণ করেছে। অধ্যক্ষ ছেলেটিকে মারধর না করে তার কাছে দিতে বলেন। তিনি অভিভাবকদের ফোন করে ডেকে আনেন। একই সময়ে সেখানে পুলিশও পৌঁছায়। পরে পুলিশ থানায় এনে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয় অজ্ঞাতপরিচয় ছেলেটিকে।
অধ্যক্ষ জানান, ছেলেটিকে তাদের হাতে কেন দেয়া হল না, কৈফিয়ত চেয়ে তার ওপর হামলা করে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি তাজ ও সহযোগী শাওন, আল মামুন, সাইফুল্লাহসহ ৭-৮ ক্যাডার। তারা তার কক্ষ, জানালার গ্লাস, চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে। পরপর তিনবার হামলার শিকার হন তিনি।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ বলেন, সন্তানতুল্য ছেলেদের হাতে বারবার লাঞ্ছিত হয়ে আমরা যেন মরে গেছি। তিনি জানান, বিষয়টি তিনি স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছেন। রোববার একটি অভিযোগও দেন থানায়। কিন্তু পুলিশের পরামর্শ অনুযায়ী সেটি সংশোধন করে সোমবার সন্ধ্যায় ফের অভিযোগটি থানায় দিয়েছেন।
আশাশুনি থানার ওসি আবদুস সালাম বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। লিখিত কোনো অভিযোগ আমার হাতে আসেনি।
জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান বলেন, তাজ ও অন্যদের বিরদ্ধে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।