ইংরেজি কেন শিখব, কীভাবে শিখব ।। ত্রয়োবিংশ পর্ব - দৈনিকশিক্ষা

ইংরেজি কেন শিখব, কীভাবে শিখব ।। ত্রয়োবিংশ পর্ব

মাছুম বিল্লাহ |
Active এবং Passive voice নিয়ে কিছু কথা
 
ইংরেজি বাক্যে ‘কর্তা’ অর্থাৎ যিনি কাজটি করেন তাকে চিনতে পারা এবং ‘অবজেক্ট’ অর্থাৎ যা করা হয় তা চিনতে পারা অত্যন্ত জরুরি। সাবজেক্ট অবজেক্ট চিনতে না পারলে বাক্য পুরোটাই ভুল হবে। কারণ Active ও Passive voice এ বাক্য লেখার গঠন পুরোপুরি আলাদা। এই বাক্য গঠন আমরা স্কুল, কলেজ কিংবা প্রচলিত গ্রামার বইয়ে যেভাবে শিখি বা যেভাবে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা দিয়ে থাকি তা বাস্তব ইংরেজি লেখার ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের  সাবজেক্ট ও অবজেক্ট নির্ণয় করতে সহায়তা করে না। যেমন- Garment workers are not paid handsome salary.
 
এই বাক্যটি আমি ২৭ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পরিবর্তন করতে দিয়েছিলাম, তাদের মধ্যে কয়েকজন ছিলেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ইংরেজি পরীক্ষক। তারা যা করেছিলেন- Garment workers not pay handsome salaries. Garment workers do not pay handsome salary.
 
এই বাক্যটিতে সাবজেক্ট/কর্তা অনুপস্থিত কারণে কর্তা কে বা কারা তা লেখার প্রয়োজন হয় না। কর্তা গার্মেন্টস শিল্পের মালিক/মালিকরা, তারা গার্মেন্টের কর্তৃপক্ষ। কাজেই বাক্যটিকে Active করতে হলে নিম্নলিখিত উপায়ে লিখতে হবে- The garment industry owners/ the authorities do not pay handsome salary to the garment workers.
 
স্পষ্টতই দেখা যায় যে, দুটো বাক্যের গঠন প্রণালী আলাদা। উল্লেখিত ২৭ জন শিক্ষক ধরতে পারেননি যে, এখানে সাবজেক্ট উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু Active করার সময় সাবজেক্ট লিখতে হবে।
 
আমরা সবসময়ই ছাত্রছাত্রীদের নিম্নলিখিত উদাহরণগুলো দিয়ে Active থেকে Passive এবং Passive থেকে Active করিয়ে থাকি।
 
I eat rice. ‘I’ subject, ‘eat’ transitive verb, ‘rice’ object.
 
এখানে কর্তা নিজে কাজ করছে এবং কর্তার অর্থই প্রাধান্য পাচ্ছে। তাই সাবজেক্টের পর Verb এবং তারপর Object বসেছে। এই বাক্যটিকে Passive করার সময় ‘rice’ object কে subject রূপে sentence এর প্রথমে বসাতে হয়।
 
নতুনভাবে বসানো subject অনুযায়ী auxiliary verb বসাতে হয়। তারপর মূল Verb এর Past Participle form বসাতে হয়। অতিরিক্ত একটি ‘by’ preposition বসাতে হয় এবং subject এর objective form বসাতে হয়। অতএব নতুন sentence টি দাঁড়াচ্ছে- Rice is eaten by me. 
 
কিন্তু প্রাত্যহিক জীবনে বা প্রতিদিনের ইংরেজিতে আমরা নিম্নলিখিত বাক্য ব্যবহার করে থাকি।
 
The growth of our economy has been increased/ is being increased by the womenfolk of our country. It has already been proved that no development can be achieved without the full participation of women in economic activities. To bring economic change in the society women’s participation in every level must be guaranteed in reality. It cannot be denied that economic underdevelopment is the prime cause for women destitution.
 
উপরের Sentence গুলো সব passive voice এ লেখা হয়েছে। কিন্তু অনেক ক্লাস ও পরীক্ষায় দেখেছি যে প্রায় সব ছাত্রছাত্রীই সঠিক verb বসাতে পারেনি, শিক্ষাকরাও সবাই পারেনি। কারণ  তারা identify করতে পারেনি যে, উপরোক্ত বাক্যগুলোর প্রথমে Object বসেছে subject নয়। তারা subject ধরে Verb বসিয়েছিল, কাজেই ভুল হয়েছে। কারণ তারা যেভাবে Active এবং Passive voice পড়ে এসেছে তাতে তারা জানে যে, বাক্যের প্রথমে সাবজেক্ট বসে । যেমন- I eat rice.
 
এভাবে ইংরেজিতে অনেক বাক্যেই দেখা যায় কি করা হয়েছে সেটি মুখ্য, কে করেছে সেটি মুখ্য নয়। এসব ক্ষেত্রেই আমরা passive sentence ব্যবহার করি। এ ধরনের অনেক বাক্যেই  subject লেখাই হয় না। কিন্তু এই ধরনের স্ট্যান্ডার্ড বাক্যগুলো আমাদের ছাত্রছাত্রীরা নিজেরা তৈরি করতে পারে না এবং verb গুলো ব্রাকেটে দিলে ছাত্রছাত্রীরা confuse করে। আলাদা আলাদা বাক্যের মাধ্যমে Active থেকে Passive করা শিখেছে। ফলে যখন বাস্তব ইংরেজির মুখোমুখী হয় তখন তারা সাগরে পড়ে যায়। কোনো কূল-কিনারা করতে পারে না। শুধু অন্ধকারে সাঁতরাতে থাকে। তাই বলা যায়, আমরা তাদেরকে যেভাবে Active থেকে Passive করা কিংবা Passive থেকে Active করা শেখাই কিংবা নিজেরা শিখি তা বাস্তবসম্মত নয়। আমাদের প্রয়োজন সরাসরি যেসব বাক্যে Passive voice ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলোর সাথে পরিচিত হওয়া। যে বাক্যগুলো করার প্রয়োজন নেই কিংবা বাস্তবে আমরা কখনও করি না বা এ জাতীয় বাক্য ব্যবহার করি না সেগুলো পরিবর্তন করা শেখালে শিক্ষার্থীরা যেখানে Passive করতে হয় সেসব জায়গাতে সঠিকভাবে পরিবর্তন করতে পারে না। 
 
একদিন এক বিদেশি কনসালট্যান্টকে নিয়ে মানিকগঞ্জের একটি স্কুলে গিয়েছিলাম। একজন ইংরেজি শিক্ষক ক্লাসে একটির পর একটি Active থেকে Passive করিয়ে যাচ্ছেন। দেখলাম তিনি খুব তৃপ্তি সহকারে voice পড়াচ্ছেন । ক্লাস দেখে যখন আসছিলাম কনসালট্যান্ট আমাকে গাড়িতে বসে প্রশ্ন করলেন তোমরা একটি বাক্যকে উল্টো করে শেখাও কেন? আমরা কি কখনও বলি আমা কর্তৃক চা খাওয়া হয় বা আমা কর্তৃক বই পঠিত হয়? আমি বললাম এগুলো ওদের সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত এবং ছাত্রছাত্রীদের এগুলোর উপর পরীক্ষা দিতে হয়। উনি বললেন, এগুলো বাস্তব জীবনে  কোনো কাজে লাগে? আসলেই বাস্তব জীবনে আমরা এভাবে তো ইংরেজি বলি না অর্থাৎ উল্টো করে বাক্য বলি না। তাহলে এভাবে ছাত্রছাত্রীদের শেখাচ্ছি কেন? আমরা কি কখনও বলি আমা কর্তৃক ভাত খাওয়া হয়? তা হলে ‘I eat rice’ এর ‘Rice is eaten by me’ জাতীয় বাক্যের গঠন শেখাচ্ছি বা শিখছি কেন?
 
কর্তার চেয়ে কর্ম যখন গুরুত্ব বেশি পায় তখন বাক্যটি Passive হয়। কিন্তু আমরা কোনটি সাবজেক্ট, কোনটি অবজেক্ট, কোনটি কোন ধরনের verb ইত্যাদি নিয়ে সময় নষ্ট করে থাকি, আসল বিষয় শেখানো হয় না। সরাসরি Passive শেখাতে হবে। কারণ ভাষা আমরা অবস্থা থেকে বা ব্যবহার করে শিখি। যেভাবে দেখি এবং ব্যবহার করি সেভাবেই শিখি। তা ছাড়া কীভাবে ব্যবহার করা হয়েছে তা দেখে নিজেরাই গ্রামার আবিষ্কার করতে পারি আর এভাবে শিখলে সেই শেখা ধরে রাখা যায় বহুদিন। 
 
আমরা ইংরেজি পত্রিকার প্রথম পাতায় নিম্নলিখিত ধরনের অনেক শিরোনাম/হেডিং দেখতে পাই-
• 3 people killed in the accident.
• A Russian plane hijacked. 
• 5 criminals arrested.
• 2 examinees expelled.
 
হেডিংগুলো দেখার পর ভেতরে বা বিস্তারিত ঘটনাগুলো যদি জানতে চাই তাহলে এভাবে লেখা দেখে থাকি- 
• 3 people have been killed in an accident near Gazipur Chourasta./ Three people were killed in an accident near Gazipur Chourasta. 
• A Russian plane was hijacked while it was flying from Moscow to London.
• 5 criminals were arrested while they were preparing to hijack a private car
• 2 SSC examinees were expelled for copying in the examination in Jessore. 
 
লক্ষ করলে দেখা যাবে যে, বাক্যগুলোতে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই verb এর past participle form ব্যবহার করা হয়েছে। তার পূর্বে একটি করে auxiliary verb ব্যবহার করা হয়েছে।
3 people so, plural auxiliary verb - ‘were’/ have been (তিনজন লোক দুর্ঘটনায় মারা গেছে)
A Russian plane singular – was (একটি রাশিযান উড়োজাহাজ  হাইজ্যাক করা হয়েছে)
5 criminals plural – were (পাঁচজন অপরাধীকে আটক করা হয়েছে) 
2 examinees – were (দু’জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে)
 
এখানে প্রত্যেকটিই মুখ্য ঘটনা। ঘটনাগুলোর সাথে কারা যুক্ত তাও উঠে এসেছে, কিন্তু কে বা কারা করেছে বা ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে তাদের কথা বলা নেই বা বর্ণনা করা হয়নি, অর্থাৎ বাক্যগুলোর subject অনুপস্থিত। এসব ক্ষেত্রে ঘটনাগুলোই মুখ্য, কে ঘটিয়েছে বা করেছে তা মুখ্য নয়। তা ছাড়া দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটে, কারা এজন্য দায়ী। বিমান হাইজ্যাক কে বা কারা করেন, অপরার্ধীদের কে বা কারা আটক বা বন্দি করেন এবং পরীক্ষার্থীদের বহিষ্কার কে বা কারা করেন তা পাঠকদের কম-বেশি জানা আছে। পরীক্ষার্থীদের পুলিশ বহিষ্কার করে না বা অপরাধীদের শিক্ষক বন্দি বা অ্যারেস্ট করেন না। এই বিষয়গুলো মোটামুটি সবার জানা আছে। তাই কারা করেছে বা ঘটনা ঘটিয়েছে তা দ্বিতীয়বার পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন হয় না। এ জাতীয় বাক্যগুলোই ইংরেজিত passive voice এ লেখা হয়।
 
ইংরেজি ভাষায় এ ধরনের বহু বাক্য আমরা দেখতে পাই এবং নিজেদেরও এ ধরনের বহু বাক্য প্রতিদিন তৈরি করতে হয়, ব্যবহার করতে হয়। আমরা নিজেরা শিখি এবং শিক্ষার্থীদের শেখাই। এসব বাক্যে-
- কর্ম অর্থাৎ যা করা হয়েছে বা যা ঘটেছে তাই মুখ্য, তাই প্রধান।
- কে বা কারা করেছে বা ঘটিয়েছে সে বিষয়টি প্রধান নয় কিংবা পুনরায় লেখার প্রয়োজন হয় না।
- বাক্যের সবকিছু ব্যবহার না করেও একজন বক্তা যা বোঝাতে চান তা পাঠক বা শ্রোতাকে বোঝানো যায়।
- আমাদের বাস্তব জীবনে এ ধরনের বহু বিষয় বর্ণনা করতে হয় সাবজেক্ট/কর্তা ব্যবহার না করে।
 
কিন্তু আমরা যখন এ ধরনের বাক্য ট্রানজিশনাল পদ্ধতিতে নিজেরা শিখি, ব্যবহার করি এবং শিক্ষার্থীদের শেখাই তখন একসাথে কিংবা ধীরে ধীরে অনেক বিষয়ের সাথে পরিচিত হতে হয় এবং পরিচিতি করাতে হয়। যেমন Transitive verb, Intransitive verb, auxiliary verbs, subject, object, preposition, present form, past form, participle form, singular auxiliary verb, plural auxiliary verb. Present perfect, past and future indefinite, continuous and perfect continuous. Example—
 
I eat rice. Rice (subject) is (singular auxiliary verb) eaten (past participle form of main verb ‘eat’) by (preposition) me (objective form of the subject ‘I’) করার সময় object কে প্রথমে নিয়ে এসে subject এর জায়গায় বসাই present indefinite tense বলে auxiliary verb ‘is’ বসাই। তারপর verb past participle form বসাই, ‘by’ preposition বসাই, ‘me’ objective form of the subject ‘I’ বসাই।
 
একজন শিক্ষার্থীর পক্ষে একটি Active বাক্যকে Passive করার জন্য এতগুলো বিষয় খেয়াল রাখতে হয়। এটি যেমন বিজ্ঞানসম্মত নয়, তেমনি একজন শিক্ষার্থীর পক্ষে এতসব নিয়মের একত্রীকরণ করে নিজ ভাষায় ব্যবহার করা বেশ কষ্টসাধ্য। ফলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি। আর এটি ন্যাচারাল বা স্বাভাবিক উপায়ে শেখা নয়। ব্যক্তি জীবনে, বাস্তব জীবনে আমরা এ ধরনের বিচ্ছিন্ন বাক্য খুব একটা ব্যবহারও করি না। অর্থাৎ eat rice এবং Rice is eaten by me. 
 
আবার কিছ কিছু বাক্য বাস্তবে আমরা কখনই Passive করি না, করার প্রয়োজন হয় না। অথচ আমরা বহু কষ্ট করে, সময় ব্যয় করে নিজেরা শিখি এবং শিক্ষার্থীদের শেখাই। যা বাস্তবে কোনো কাজেই আসে না। যেমন - Rice is eaten by me. Two cups of tea are drunk by me every day.
 
আর্থাৎ আমরা এ বাক্যগুলোকে উল্টো করে কখনোই বলি না, বলার প্রয়োজন হয় না। ‘আমা কর্তৃক ভাত খেয় হয়’ বা আমা কর্তৃক চা পেয় বা খেয় হয়। এ ধরনের বাক্য অস্বাভাবিক, স্বাভাবিক নয়। কিন্তু আমরা, অনেক সময় ব্যয় করে, অনেক চাপ প্রয়োগ করে নিজেরা শিখি এবং শিক্ষার্থীদের শেখাই। যেখানে আমরা সব সময় বলি বা বলতে হয়, আমি ভাত খাই। আমি প্রতিদিন দু কাপ চা পান করি। 
 
অথচ যেসব ক্ষেত্রে বাক্য আমাদের আসলেই passive voice এ করতে হয় বা লিখতে হয় সেসব ক্ষেত্রে আর অমরা তা করতে পারি না। তার মূল কারণ হচ্ছে, আমরা ওভাবে শিখিও না বা শিক্ষার্থীদেরও শেখাই না। 
 
তাই আবারও বলা যায় যে সব ক্ষেত্রে কে বা কারা কোনো কিছু করেছে বা ঘটিয়েছে তা মুখ্য নয়, মুখ্য হচ্ছে যা করা হয়েছে তাই। এসব ক্ষেত্রেই আমরা passive বাক্য ব্যবহার করি। এখন কোথায় ঘটনা মুখ্য, কে বা কারা ঘটিয়েছে তা মূখ্য নয় এসব চিন্তা করে বাক্য লিখতে হবে তাও কিন্তু না। এখানে যেটি করতে হবে তা হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিতে হবে, ব্যবহার করাতে হবে পত্রিকার পাতায় ব্যবহৃত উপরোক্ত বাক্যগুলোর সাথে। আলাদা যদি শিক্ষার্থীদের বোঝাতে হয় কোথায় ঘটনা মুখ্য আর কে ঘটিয়েছে তা মুখ্য নয়, তাহলে আবার তাদের ট্রাডিশনালভাবেই খুঁজতে হবে এবং এই ধরনের শেখাটা বাস্তবসম্মত হবে না। তাদের সরাসরি উদাহরণ/সরাসরি passive ব্যবহৃত বাক্যগুলোলোর সাথেই তাদের পরিচয় করাতে হবে। 
 
- এ ধরনের বাক্য আমাদের বাস্তব জীবন থেকে, বাস্তব উদাহরণ থেকে নিতে হবে তাহলে সেটি শিক্ষার্থীদের নিকট অধিক বোধগম্য ও হৃদয়গ্রাহী হবে।
- তারা সরাসরি বাক্যগুলো শিখে ফেলতে পারবে।
- এ ধরনের বাক্য যে এভাবে লিখতে হবে তা তারা শিখে ফেলতে পারবে।
- এ ধরনের  বাক্যে গঠনের ক্ষেত্রে যা কিছু জড়িত সেগুলো তারা একসাথে দেখছে ও শুনছে এবং সেভাবেই শিখে ফেলবে।
- এভাবে শিখলে আমাদের বাস্তব জীবনের  সাথে সম্পর্কিত বাক্য তৈরি করতে তাদের আর থতমত খেতে হবে না এবং ঘাবড়ে যেতে হবে না। 
 
পৃথিবীর অনেক দেশে ধান জন্মানো হয়। এ বাক্যটিকে যখন Passive আকারে লিখতে হয় তখন আমরা অনেকেই থতমত খেয়ে যাই। 
Rice is grown in many countries of the world.
 
এবার আমরা টেক্সট বইয়ে ব্যবহৃত উদাহরণটি দেখি। 
 
Nakshi kanta is a kind of embroidered quilt. The name was taken from the Bengali word ‘Naksha’ which means artistic pattern. It is a kind of traditional craft and is said to be indigenous of Bangladesh and West Bengal in India. The art has been practiced in rural Bengal for centuries. The name ‘Nakshi kantha’ became popular after the poet Jasimuddin’s poem ‘Nakshi Kanthar Math’ was published in 1929.
 
Traditional kanthas are made for family use. Old or new cloth and thread are used to make these quilts. Mymensingh, Jamalpur, Rajshahi, Faridpur, Bogra and Jessore are most famous for this craft. Now it is produced commercially. You can find them in many expensive handicraft shops in cities. The quilts are now in great demand because of the colourful patterns and designs embroidered on them. 
 
Passive voice এ লিখিত বাক্যগুলো underline করা হয়েছে।
 
প্যাসেজটি পড়ে Passive voice এ লেখা বাক্যগুলো underline কর/ নিচে দাগ দাও।
এবার খেয়াল করো এবং চিন্তা করে দেখ তোমরা ক্লাসে যে Active voice এবং Passive voice যেভাবে শিখো এ উদাহরণগুলো তেমন কিনা বা তোমাদের সহজে সেগুলো সাহায্য করে কিনা। 
আরও চিন্তা করো এ বাক্যগুলো Passive voice এ লেখা হয়েছে কেন?
এবার বাক্যগুলোকে Active voice এ পরিবর্তন কর এবং দেখ তোমার ক্লাসে শেখা নিয়মগুলো এখানে ব্যবহার করতে পার কিনা।
 
The name was taken from the Bengali word ‘Naksha’.
কে নামটি নিয়েছিল তা নির্দিষ্টভাবে বলা নেই। তাই এ জাতীয় বাক্য Passive voice এ করাই ভালো। Bengali word ‘Naksha’ কে নিয়েছে, কারা নিয়েছে, কখন নিয়েছে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা নেই। এসব ক্ষেত্রে বাক্য Passive voice লেখাই ভালো এবং লেখাও সহজ। 
 
It is a kind of traditional craft and is said to be indigenous of Bangladesh.
বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের দেশিয় বলা হয়ে থাকে। সংশ্লিষ্ট সবার পরিচিত অর্থাৎ বিষয়টি অনেকেই জানেন। তবে নির্দিষ্ট করে কে কবে তা বলেছেন তার উল্লেখ নেই, তাই বাক্যটি Passive voice  এ লেখা হয়েছে। 
 
The art has been practiced in rural Bengal for centuries.
বাংলার গ্রামীন এলাকার লোকজন শত শত বছর ধরে এই আর্ট ব্যবহার করে আসছেন।
গ্রামীন বাংলায় কারা এ প্রাকটিস করেছেন তা বুঝা যায়, তাই অতিরিক্ত করে আবার বলার প্রয়োজন হয়নি। এসব ক্ষেত্রে এ বাক্য Passive voice লেখা হয়েছে।
 
Jasimuddin’s poem ‘Nakshi Kanthar Math’ was published in 1929.
বই কারা প্রকাশ করেন তা মোটামুটি সংশ্লিষ্ট সবারই জানা। অর্থাৎ পাবলিশার বই প্রকাশ করেন। তাই প্রকাশকের কথা বলার আর প্রয়োজন হয় না। 
প্রকাশকের চেয়ে কবি জসিমুদ্দীনের ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়েছে বিষয়টিই মুখ্য, প্রধান বিষয়, তাই বাক্যটি এভাবে লেখা হয়েছে অর্থাৎ কি হয়েছে যখন কে বা কারা করেছেন তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বুঝায় সেসব ক্ষেত্রে অমারা বাক্য Passive voice এ লিখি। 
 
Traditional kanthas are made for family use.
পরিবারের সদস্যরা কিংবা যারা কাঁথা তৈরি করেন, মোটামুটি জানা এবং পরিচিত, এসব ক্ষেত্রেও বাক্য Passive voice লেখা হয় এবং অ্যাজেন্ট লেখার প্রয়োজন হয় না। 
 
Old or new cloth and thread are used to make these quilts.
যারা কাঁথা তৈরি করেন তারা ব্যবহার করেন Old or new cloth and thread. তাই অ্যাজেন্ট লেখা হয়নি।
 
Now it is produced commercially.
যারা তৈরি করেন তাদের কথা লেখা হয়নি, অ্যাজেন্ট লেখা হয়নি। নকশী কাঁথা এখন commercially উৎপন্ন হয়, এটিই মুখ্য বিষয়। তাই বাক্যটি  Passive voice লেখা হয়েছে। 
 
এভাবে টেকস্ট থেকে প্যাসেজ নিয়ে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিতে হবে এবং এটিই বাস্তব অবস্থা থেকে শেখা। এখানে লক্ষ করলে দেখা যাবে যে, শিক্ষার্থীরা বিচ্ছিন্নভাবে যে নিয়ম শেখে তার চেয়ে যদি সরাসরি Passive বাক্য দেখে এবং এখানে থেকেই সাবজেক্ট অবজেক্ট চিনতে পারে সেটি বেশি বাস্তব, বিজ্ঞানসম্মত এবং তারা সহজে বুঝতে পারবে কোন কোন ক্ষেত্রে Passive voice এ বাক্য লেখা দরকার। 
 
নিচের প্যাসেজে ব্রাকেটের verb গুলো পরিবর্তন করে উত্তরগুলো মিলিয়ে দেখ। উপরে যেসব ব্যাখ্যা করা হয়েছে সেসব ব্যাখ্যার আলোকে নিজে নিজে কারণগুলো আবিষ্কার করার/বের করার চেষ্টা করুন। 
 
Fill in the blanks with the correct form of the verbs in brackets:
The growth rate of our economy may (a)--------(increase) by the women folk of our country. It already (b)-------(prove) that no development (c)- -------------(achieve) without their full participation in economic activities. To bring economic change in the society women’s participation in every level must (d)--------(guarantee) in reality. It (e)------------ (not deny) that economic underdevelopment is the prime cause for the women destitution. Though many women (f)------------(engage) in many jobs, they (g)-------------(pay) less. Several measures (h)----------(take) by the United Nations to ensure equally for women everywhere including workplace. Women’s contribution is (i)-----------(devalue) not only in the workplace but also in their own houses. Their domestic work (j)----------(treat) as inferior. As their work (k)---------------(neglect), they (l)-----------(ignore) in decision-making. Full participation of women is (m)----------(require) to free women from poverty. They should (n)-------------(give) the right in decision-making process. If these things (o)---------(not ensure) the much needed development of the country (p)---------( not achieve). If we look at the developed countries, it (q)-----------( see) that women workers (r)---------(guarantee) all kinds of facilities. Had they not (s)----------- (be) cautious of this fact, they would have fallen far behind. So, the problem and status of women need to (t)------------ (address) properly.
 
Answer: 
a. be increased, b. has already been proved, c. can be achieved, d.be guaranteed, e. cannot be denied, f. are engaged, g. are paid, h. have been taken, I. Devalued, j. is treated, k. is neglected, l. are ignored, m. required, n. be given, o. are not ensured, p. cannot be achieved/may not be achieved, q. is seen, r. are guaranteed, s. been, t. be addressed.
 
চলবে...
লেখক: শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও গবেষক, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচিতে কর্মরত।
 

ইংরেজি কেন শিখব, কীভাবে শিখব ।। একবিংশ পর্ব

ইংরেজি কেন শিখব, কীভাবে শিখব ।। বিংশ পর্ব

ইংরেজি কেন শিখব, কীভাবে শিখব ।। ঊনবিংশ পর্ব

ইংরেজি কেন শিখব, কীভাবে শিখব ।। অষ্টাদশ পর্ব

ইংরেজি কেন শিখব, কীভাবে শিখব ।। ষোড়শ পর্ব

 

ইংরেজি কেন শিখব, কীভাবে শিখব || ত্রয়োদশ পর্ব 

ইংরেজি কেন শিখব, কীভাবে শিখব ।। দ্বাদশ পর্ব

ইংরেজি কেন শিখব, কীভাবে শিখব ।। একাদশ পর্ব

ইংরেজি কেন শিখব কীভাবে শিখব ।। দশম পর্ব

ইংরেজি কেন শিখব কীভাবে শিখব ।। নবম পর্ব

ইংরেজি কেন শিখব কীভাবে শিখব ।। অষ্টম পর্ব

ইংরেজি কেন শিখব কীভাবে শিখব ।। সপ্তম পর্ব

ইংরেজি কেন শিখব কীভাবে শিখব ।। ষষ্ঠ পর্ব

ইংরেজি কেন শিখব কীভাবে শিখব ।। পঞ্চম পর্ব

ইংরেজি কেন শিখব কীভাবে শিখব ।। চতুর্থ পর্ব

ইংরেজি কেন শিখব কীভাবে শিখব ।। তৃতীয় পর্ব

ইংরেজি কেন শিখব কীভাবে শিখব ।। দ্বিতীয় পর্ব

ইংরেজি কেন শিখব কীভাবে শিখব ।। প্রথম পর্ব

এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ - dainik shiksha এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.009915828704834