ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সাংবাদিক লাঞ্ছনার ঘটনায় এক ছাত্রলীগ কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ক্যাম্পাস সংলগ্ন শেখপাড়া বাজারে তাকে এ লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, একটি জাতীয় দৈনিকের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি শাহ আলম ব্যক্তিগত কাজে সন্ধ্যা ৭টার দিকে শেখপাড়া বাজারে যায়। সেখানে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা দুইজন ছাত্রলীগ কর্মী পিছন দিক থেকে অতর্কিত হামলা করে বেধড়ক মারধর করে। পরে খবর পেয়ে সাংবাদিকেরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করেন।
মেডিকেল সেন্টারের কর্মরত ডাক্তার বদিউজ্জামান জানান, ‘তার মাথা এবং নাকে ব্যাপক ইনজুরি হয়েছে। ফলে কফের সঙ্গে রক্ত পড়ছে।’
বিষয়টি সমাধানের জন্য ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন এবং সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করতে টিএসসিসিতে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস কর্ণারে যান। এসময় ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চান।
পরে তারা ওই ঘটনায় জড়িত থাকায় ছাত্রলীগ কর্মী মিঠু কবিরকে সাময়িক বহিষ্কার করেন। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মাজেদুল হক রুবেলকে নিজেদের কর্মী বলে অস্বীকার করেন। কিন্তু জানা যায় সে লালন শাহ হল ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়।
আহত সাংবাদিক শাহ আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ এবং দি ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে স্নাতোকত্তর শেষ করেছেন। ইন্টার্নির রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য তিনি গত কয়েকদিন আগে ক্যাম্পাসে আসেন এবং চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে ক্যাম্পাস থেকে বিদায় নেওয়ার কথা রয়েছে।
ক্যাম্পাস জীবনের একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে এরকম ঘটনায় সম্মুখীন হওয়ায় ওই সাংবাদিক মানসিকভাবে অনেকটা ভেঙে পড়েছেন। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছেও তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির আবেদন জানাই।