উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এসএসসি প্রগ্রামে শিক্ষক হিসাবে অযোগ্যদের দিয়ে শিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ অভিযোগ রাজবাড়ীর খানখানাপুর সুরাজ মোহিনী ইনস্টিউিটে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে।
সূত্র জানায়, রাজবাড়ী কোর্টের আইনজীবী পারভীন সুলতানা লাকী এ প্রগ্রামে অর্থের গার্হস্থ্য অর্থনীতির ক্লাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণা করেছেন। একই সাথে তিনি ১০/১১বছর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেতন উত্তোলন করে আসছেন। এ অনৈতিক কাজে সহয়তাকারী তার স্বামী শাহজাহান মুন্সী শিক্ষক না হয়েও ক্লাস নিয়ে টাকা উত্তোলন করছেন।
অপরদিকে এ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক অশোক কুমার মজুমদার ও মনিরুজ্জামান লিটন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না। কিন্তু নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন। তাদের মূল প্রতিষ্ঠানের (খানখানাপুর সুরাজ মোহিনী ইনিস্টিউিটে)জমা রাখা শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ পত্রের সাথে উন্মুক্ত বিশ্বদ্যিালয়ের জমা দেওয়া সনদের কোন মিল নাই।
সব গুলোতে তৃতীয় বিভাগ থাকলেও সনদপত্র টেম্পারিং করে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বিভাগ বানিয়ে জমা দিয়ে শিক্ষকতা করে হাজার হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন।ওই দু’শিক্ষকের শিক্ষকতার যোগ্যতায় উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শর্তপূরণ করেনা। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে হলে সবগুলো পরীক্ষায় কমপক্ষে দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণি পাশ থাকতে হয়। কিন্তু সে নিয়ম ভঙ্গ করে পাঠদান অব্যাহত রেখেছেন।
তাছাড়া খানখানাপুর সুরাজ মোহিনী ইনিস্টিটিউটে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যেনু থাকলেও স্কুলের অফিস সহকারী শহাজাহনের বাড়িতে এখনও অফিস পরিচালিত হয়। ফলে পরীক্ষা পাশের সনদ সংগ্রহ করতে গেলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে সুরাজ মোহিনী ইনিস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক ও উন্মুক্ত বিশবিদ্যালয়ের সমন্বয়কারী সিরাজ উদ্দিন বিশ্বাস অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর ওই সকল শিক্ষকদের বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হবে।
ভূয়া সনদ দিয়ে ১০/১১বছর চাকরি করায় সরকারের অর্থ গচ্চা যাওয়া বিষয়ে তিনি বলেন, আগে যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা উত্তর দিতে পারবেন।