একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা-২০১৮ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সোমবার (৭ মে) মাধ্যমিক ও উচ্চ বিভাগের সচিব মো: সোহরাব হোসাইন স্বাক্ষরিত আদেশে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির এ নীতিমালার তথ্য জানা যায়।
নীতিমালায় বলা হয়েছে,সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সাকুল্যে মফস্বল/পৌর (উপজেলা) এলাকায় এক হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় দুই হাজার টাকা,ঢাকা ব্যতীত সকল অন্যান্য মেট্টোপলিটন এলাকায় তিন হাজার টাকার বেশি হবে না।
মেট্টোপলিটন এলাকায় অবস্থিত এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। মেট্টোপলিটন এলাকায় অবস্থিত আংশিক এমপিওভুক্ত বা এমপিও ভহির্ভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য শিক্ষার্থী ভর্তির সময় ভর্তি ফি, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৯ হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা গ্রহণ করতে পারবে। উন্নয়ন খাতে কো প্রতিষ্টান তিন হাজার হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, সরকারি কলেজসমূহে সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ফি সংগ্রহ করবে।
দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। এ নীতিমালার কোননরূপ ব্যত্যয় ঘটানো হলে বেসরকারি কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে ক্ষেত্রে পাঠদানের অনুমতি বা স্বীকৃতি বাতিলসহ কলেজটির এমপিওভুক্তি বাতিল করা হবে। সরকারি কলেজের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে www.xiclassadmission.gov.bd ঠিকানায়। এসএমএস করতে হবে টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে। অনলাইনে ১৫০ টাকা দিয়েই ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করা যাবে। তবে এসএমএসের জন্য প্রতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ১২০ টাকা করে ফি দিতে হবে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইন ও এসএমএসে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে আগামী ১৩ মে থেকে। আবেদনের শেষ সময় ২৪ মে। তবে ফল পুনর্নিরীক্ষণের যাদের ফল পরিবর্তন হবে, তাদের আবেদন আগামী ৫ ও ৬ জুন গ্রহণ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ জুন। এবার শিক্ষার্থী ভর্তির নিশ্চায়ন না করলে নির্বাচন ও আবেদন বাতিল হবে। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ করা হবে ১৯ ও ২০ জুন। দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ২১ জুন। তৃতীয় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ করা হবে ২৪ জুন। এই পর্যায়ের ফল প্রকাশ হবে ২৫ জুন। আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করে ২৭ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম চলবে। আগামী ১ জুলাই থেকে ক্লাস শুরু হবে।
এবার বিভাগীয় এবং জেলা সদরের কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে শতভাগ আসনে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। তবে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির পর যদি বিশেষ অগ্রাধিকার কোটার কোনো আবেদনকারী থাকে, তাহলে মোট আসনের অতিরিক্ত হিসেবে নির্ধারিত কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে। নির্ধারিত কোটা আছে ১১ শতাংশ। এর মধ্যে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা সন্তানের সন্তানদের জন্য, ৩ শতাংশ বিভাগীয় ও জেলা সদরের বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য, ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধস্তন দপ্তরগুলো ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সন্তানদের জন্য, শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বিকেএসপির জন্য এবং শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ প্রবাসীদের সন্তাদের জন্য। তবে এবার এসব কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে এ আসনগুলোর কার্যকারিতা থাকবে না। আগে এসব কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে এ আসনগুলো সাধারণ কোটার প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করা হতো। গতবার ১১ শতাংশ নির্ধারিত কোটার প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্ষেত্রে নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তি হবে।
বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন