নীলফামারীর ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মফিজ উদ্দিন শেখ এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন তিনি। তার পরীক্ষার কেন্দ্র জলঢাকার আলহাজ্ব মোবারক হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়।
খবর জেনে শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মোবারক হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ ১নং রুমে বসে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা দিচ্ছেন।
মফিজ উদ্দিন শেখ ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ১৭ মার্চ ডিমলা থানায় ওসি (তদন্ত) হিসেবে যোগ দেন। পরের বছর ২০ মে তিনি ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নেন। পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স-মাস্টার্স পাস করার সনদপত্র দিয়ে পদোন্নতি পেয়েছেন। ৮ম শ্রেণি পাসের সনদপত্র দিয়ে তিনি কনস্টেবল পদে চাকরি নেন। এরপর পদোন্নতি পেয়ে ওসি হন।
ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ উন্মুক্ত বিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে জলঢাকার আলহাজ্ব মোবারক হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে তিনি ভর্তি হন। তার রোল নং-৭। ২০১৮ সালের প্রথম সেমিস্টারের ও চলতি বছরের ২২ ফ্রেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সেমিস্টারের বাংলা দ্বিতীয় পত্র বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি। তার পরীক্ষার রোল নং-১৭-০-১০-২৪৮-০০৭। প্রবেশপত্রে পরীক্ষার্থীর নাম মফিজ উদ্দিন শেখ, পিতা- রজব আলী শেখ ও মায়ের নাম নুরুননেছা বেগম উল্লেখ রয়েছে।
এ বিষয়ে জলঢাকা আলহাজ্ব মোবারক হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রোকনুজ্জামান চৌধুরী বলেন, তিনি ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৯ম শ্রেণিতে ভর্তি হন। দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষায় এবার পরীক্ষা দিচ্ছেন তিনি। বর্তমানে ওই কেন্দ্রে ওসি মফিজ উদ্দিনসহ দ্বিতীয় সেমিস্টারে ৯৫ জন পরীক্ষা দিচ্ছেন।
এব্যাপারে মোবাইল ফোনে ওসি মফিজ উদ্দিন শেখের সাথে যোগাযোগ করা হলে এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, জ্ঞান অর্জনের জন্য নির্দিষ্ট কোনো বয়সসীমা নেই। আমি আমার আগের শিক্ষাগত যোগ্যতা দিয়ে পদোন্নতি নিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হয়েছি। এরপরও ব্যক্তিগত ইচ্ছায় আবারও এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, মানুষ ডাবল এমএ পাস করে না? এতে অসুবিধা কী?