ঘুষের বিনিময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্ত করার অভিযোগ হাজার হজার। কিন্তু শাস্তি পেয়েছেন কয়জন? এমপিও বাতিল হয়েছে কয়জনের? এ নিয়ে দৈনিক শিক্ষার ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের প্রথব পর্বে থাকছে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিলুল্লাহর কাহিনী। তিনি মূলত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি হাইস্কুলের শিক্ষক।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ঘুষ খেয়ে শত শত শিক্ষক-কর্মচারীকে নিয়োগ এবং এমপিওভুক্ত করেছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইবব্রাহিম খুলিলুল্লাহ ও তার কয়েকজন সাগরেদ। দুর্নীতির ছয়টি মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। তিনটিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে ইব্রাহিম খলিলের বিরুদ্ধে। তবু বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন জয়পুরহাট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ। ২০১৪ সালে নাটোরের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা থাকাকালে নাটোরের লালপুরে ভুয়া শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাঁকে প্রধান আসামি করে সাতটি মামলা করে। তবে, গত ৫ অক্টোবর ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ দাবি করেছেন, তিনি জামিনে আছে এবং নির্দোষ।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাজশাহী সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর এই কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী বাদী হয়ে লালপুর থানায় আটটি মামলা করেন। এর মধ্যে সাতটি মামলাতেই প্রধান আসামি করা হয় নাটোরের সাবেক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিলুল্লাহকে। একটি মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়নি।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা পরস্পর যোগসাজশে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। এর মাধ্যমে তাঁরা নিজে লাভবান হয়েছেন এবং অন্যজনকে লাভবান করার উদ্দেশ্যে কোনো নিয়োগ পরীক্ষা ছাড়াই সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূতভাবে এই শিক্ষকদের নিয়োগ দিয়েছেন, এমপিওভুক্ত করেছেন এবং বেতন ওঠানোর চেষ্টা করেছেন। এ কাজ করে তাঁরা ১৯৪৭ সালের দুই নম্বর দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।