সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সাইফুর রহমানকে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সুনামগঞ্জের এসপি মিজানুর রহমান জানান সকালবেলা ছাতক থেকে ঘটনার প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
তিনি বলেন, "সকালে ছাতক থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের জানামতে মামলার এজাহার অনুযায়ী আটক করা ব্যক্তিই প্রধান অভিযুক্ত।"
শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে সিলেটের টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজের গেটের সামনে থেকে ঐ তরুণীকে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন। ঐ তরুণী তার স্বামীর সাথে একটি গাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন।
তরুণীর স্বামী এজাহারে উল্লেখ করেন, তার স্ত্রীকে যখন জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তখন দুই ব্যক্তি তাকে গাড়িতে আটক করে রাখে।
এর ঘণ্টাখানেক পর এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের একটি কক্ষের সামনে থেকে নিজের স্ত্রীকে বিধ্বস্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন স্বামী।
পরে রাতেই ঐ তরুণীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।
এমসি কলেজের হোস্টেলের পাশের আবাসিক এলাকার এক বাসিন্দা জানান রাতে বেশ কিছুক্ষণ ছাত্রাবাসের ভেতর থেকে চিৎকার চেঁচামেচির শব্দ শুনতে পাচ্ছিলেন তিনি। পরে একপর্যায়ে নারী কন্ঠের চিৎকার শুনতে পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে স্থানীয় আরো কয়েকজনকে নিয়ে ছাত্রাবাস এলাকার ভেতরে প্রবেশ করেন।
সেসময় হোস্টেলের পাশের স্টাফ কোয়ার্টার থেকে কর্মচারীরা জড়ো হলে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারেন তারা।
ঐ ঘটনার পর থেকে সিলেটে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে সাধারণ মানুষ।
এই ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল বলে বলা হচ্ছে, তবে পুলিশ এখনো তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
আরও পড়ুন :
ছাত্রাবাসে ধর্ষণ : অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভে সাধারণ শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা
ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ : প্রধান আসামি সাইফুরের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা
এমসি কলেজে গণধর্ষণের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন, ২ গার্ড সাসপেন্ড