কওমি সনদের স্বীকৃতি নিয়ে খালেদা জিয়া যা করেছিলেন - দৈনিকশিক্ষা

কওমি সনদের স্বীকৃতি নিয়ে খালেদা জিয়া যা করেছিলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক |

কওমি সনদের স্বীকৃতি নিয়ে বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন একটি ঘোষণা দিয়েছিলেন ২০০৬ খ্রিস্টাব্দের ২১শে আগস্ট।  তিনি বিএনপি-জামাত জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ২০০১ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর থেকে ২০০৬ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাস পর্যন্ত।

শিক্ষা বিষয়ক একমাত্র অনলাইন জাতীয় পত্রিকা দৈনিকশিক্ষাডটকমের রয়েছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ শিক্ষা তথ্যভান্ডার। দৈনিকশিক্ষার হাতে থাকা তথ্যে দেখা যায়, ২০০৬ খ্রিস্টাব্দের ২১শে আগস্ট প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কওমির দাওরায়ে হাদিসক ডিগ্রিকে সাধারণ শিক্ষা ধারার ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি সাহিত্যের সমমান ঘোষণা করেন। এই ঘোষণার ঠিক আগে কওমি সনদের স্বীকৃতির দাবীতে রাজধানীর মুক্তাঙ্গনে ইসলামী ঐক্যজোটের নেতৃত্বে বিভিন্ন ইসলামী দল ও কওমি মাদ্রাসার নেতৃবৃন্দ ১৬ থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

একই বছরের আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে কওমি মাদ্রাসা বোর্ডের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুক ও প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলনের সঙ্গে সাক্ষাত করে লিখিত আবেদন জমা দেন। তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গেও তারা সাক্ষাত করেন। আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে তারা প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করে কওমি সনদের স্বীকৃতি দাবী করেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা বক্তব্যে বলা হয়েছে, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকায় প্রচুর হাফেজ, ইমাম ও ধর্মশিক্ষকের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু সরকারী স্বীকৃতি না থাকায় কওমি শিক্ষার্থীরা এ সুযোগ হারাচ্ছেন।’

খালেদার কাছে জমা দেয়া আবেদনে, কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ পর্যায় দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমান এবং কওমি বোর্ডকে এফিলিয়েটিং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেয়ার কথা বলা হয়।

এর আগে ২০০৫ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে কওমি শিক্ষা বিষয়ে একটি কমিটি  গঠন করা হয়। কমিটির সুপারিশ নিয়ে খালেদার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি সার-সংক্ষেপ পাঠানো হয়। ২০০৬ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে ‘বাংলাদেশের ক্বওমী মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বীকৃতি ও উন্নয়ন’ শিরোনামের ওই সার সংক্ষেপে শিক্ষাসচিবের নেতৃত্বে একটি ২০সদস্যের টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব করা হয়। টাস্কফোর্সের প্রস্তাবের দ্বিতীয় নামটি লেখা রয়েছে, ‘খতিব মাওলানা আহমেদ শফী।’

কমিটিতে মাওলানা শায়খুল হাদীস  আজিজুল হক, মাওলানা ওবায়দুল হক, মাওলানা মহিউদ্দিন খান, মুফতি ফজলুল হক আমিনী (এমপি), মুফতি শহীদুল ইসলাম (এমপি),  মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস ও মাওলানা আবদুল হালিম বোখারীসহ মোট ২০জন।

শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035400390625