রাজধানীর সরকারি স্কুলের ভর্তি পরীক্ষার ফল আজ সোমবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে প্রকাশ করা হলেও তা ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়নি।
ফল তৈরির দায়িত্বে রয়েছেন দুর্নীতির আখড়া শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। ওয়েবসাইটে দেওয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাড়িতে চলে গেছেন তাই কাল মঙ্গলবার সকাল ১১টা পর্যন্ত অনলাইনে ফল দেখতে অপেক্ষা করতে হবে ভর্তিচ্ছুকদের।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল বিকাল ৪ টার মধ্যে ফল প্রকাশ করে ওয়েবসাইটে দেয়া কথা। এ কারণে নির্ধারিত সময় ধরে অভিভাবকরা ওয়েবসাইটে ফল পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করেন। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে অপেক্ষা করেও তারা কোন তথ্য জানতে পারেনি।
এ সময়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উদিগ্ন ছিল।
তারা দৈনিকশিক্ষাডটকমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম অফিসে ফোন করে এ বিষয়ে তথ্য জানতে চান। রাত পৌনে ১০ টায় ফল প্রকাশের কথা জানান মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, রাতে ডিজি অফিসে ফল তৈরির পর প্রধান শিক্ষকরা কপি নিয়ে গেছেন। তবে ওয়েবসাইটে দেয়া জন্য যে লোকজন ছিল তারা চলে গেছেন। মঙ্গলবার ১১ টায় হয়তো দেয়া যাবে।
দুর্নীতির আখড়া শিক্ষা ভবনের কর্মকর্তাদের উদাসীনতা ও প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণের প্রতি চরম অবহেলার বহি:প্রকাশ হিসেবে অভিহিত করেছেন অভিভাবকরা। ওয়েবসেইটে ফল না দিয়ে কীভাবে বাড়ী চলে গেলেন ওই কর্মকর্তা? জানতে চান তারা।
রাজধানীর ৩৫টি সরকারি স্কুলের ১১ হাজার আসনের জন্য আবেদন করে ৭৫ হাজার ৭০৯ শিক্ষার্থী। এবারই প্রথম ঢাকা মহানগরীতে ৪০ শতাংশ এলাকা কোটা চালু হয়। রাজধানীসহ সব মহানগর বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির সব (ভর্তির আবেদন, ফি গ্রহণ, ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ এবং প্রকাশ) কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্ন করা বাধ্যতামূলক করা হয়।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হয় লটারিতে। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি হবে পরীক্ষার মাধ্যমে। ষষ্ঠ এবং নবম শ্রেণীতে প্রাথমিক এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে। ‘এ’ গ্রুপের স্কুলের ভর্তি পরীক্ষা হয় ১৭ ডিসেম্বর। ১৮ ডিসেম্বর হয় ‘বি’ গ্রুপের স্কুলগুলোর ভর্তি পরীক্ষা। ১৯ ডিসেম্বর ‘সি’ গ্রুপে থাকা স্কুলগুলোর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।