খুলনার রায়েরমহলে এক স্কুলশিক্ষকের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্কুলশিক্ষক তাজউদ্দীন মোল্লা ও তাঁর ভাই সিটি করপোরেশনের কর্মচারী রোকনউদ্দীন মোল্লাসহ চার-পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর তাজউদ্দীন ও রোকনউদ্দীনকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
গত শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল শনিবার বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে ও আহতের দেখতে যান। তাঁরা এ ঘটনার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দায়ী করে আহতদের নিজেদের সমর্থক বলে দাবি করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, নগরীর রায়েরমহল হামিদনগর ইউনিট আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে একটি পটকা ফোটার শব্দ হয়। এর কিছুক্ষণ পর সোয়া ৯টার দিকে ৩০-৪০ জনের একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রায়েরমহল হামিদনগর হাজী মুহাম্মদ মহসিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোল্লা তাজউদ্দীনের বাড়িতে অতর্কিতে হামলা চালায়। এ সময় তিনি বাইরে এলে সন্ত্রাসীরা টর্চলাইট দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে। পরে লাঠিসোঁটা দিয়ে তাঁকে বেদম প্রহার করে।
তাজউদ্দীনের ছোট ভাই রোকন মোল্লা ভাইকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাঁর মাথায়ও আঘাত করা হয়। তাঁর মাথায় ৯টি সেলাই লেগেছে। মূলত এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, অভ্যন্তরীণ কোন্দল, মাদক ব্যবসা এবং চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদের জের ধরেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসী জানায়।
প্রধান শিক্ষক মোল্লা তাজউদ্দীন অভিযোগ করেন, দিলু, বুলু, জামান মোল্লা, জুয়েল, মোস্তাফিজ, মোস্তাকিন, রমজান, মোহাম্মদ মোল্লা, রহমান মোল্লা, রাজ্জাক, নূর আলমসহ ৩০-৪০ জনের একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁর বাড়িতে অতর্কিতে হামলা চালায়। এ সময় তাঁরা বাড়ির নারী সদস্যদের লাঞ্ছিত এবং ভাঙচুর ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করে। পূর্বশত্রুতা ও চাঁদাবাজিতে বাধা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তারা হামলা চালিয়েছে বলে জানান তিনি। এ ঘটনায় তাঁর ভাই সোহরাব মোল্লা বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।