গতকাল সোমবার রাত ১২টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় ৮জন আহত হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হলের দুটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। আহতদের মধ্যে একজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। আহতরা হলেন আশীষ, ইমরান, সঞ্চয়, প্রান্ত, আব্দুল মালেক, মোক্তার হোসেন, কাউসার প্রমুখ।
আহতদের মধ্যে মোক্তার হোসেন কাউসার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সমপাদক এইচ এম ফজলে রাব্বি সুজনের অনুসারী। আর আশীষ, ইমরান, সঞ্চয়, প্রান্ত, আব্দুল মালেক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সমপাদক আবু সাঈদের অনুসারী।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ১২টার দিকে আবু সাঈদের অনুসারী নেতাকর্মী ও ফজলে রাব্বি সুজনের অনুসারীরা আলাওল হলের গেস্ট রুমে সভা করতে বসেছিলেন। এক পর্যায়ে সেখানে তাঁরা মারামারিতে লিপ্ত হন। এ সময় আবু সাঈদের অনুসারী আশিস ও ইমরান গুরুতর আহত হন।
পরবর্তীতে এ খবর ক্যামপাসে ছড়িয়ে পড়লে আবু সাঈদের অনুসারীরা আলাওল হলে এবং ফজলে রাব্বি সুজনের অনুসারীরা সোহারাওয়ার্দী হলে আবস্থান নেন। দুপক্ষ অস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় আবু সাঈদের অনুসারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হলে ফজলে রাব্বি সুজনের অনুসারীদের দুটি কক্ষ ভাঙচুর করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসক ড. শান্তনু জানান, মারামারির ঘটনায় প্রায় ১০-১২ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের হাতে ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মোক্তার হোসেনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সমপাদক আবু সাঈদ বলেন, ‘পূর্ব নির্ধারিত একটি প্রোগ্রাম নিয়ে আলোচনা করার সময় জুনিয়রদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে পরবর্তীতে হলে দুয়েকটি রুম ভাঙচুর করা হয়। বিষয়টি সমাধান করার জন্য আমরা সিনিয়ররা বসব।’
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজন বলেন, ‘জুনিয়রদের মধ্যে সামান্য ঝামেলা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চবি প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।