ছাত্রী হলের ট্রাঙ্কে মৃত নবজাতক - দৈনিকশিক্ষা

ছাত্রী হলের ট্রাঙ্কে মৃত নবজাতক

জাবি প্রতিনিধি |

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের রুমে সন্তান প্রসব করেছেন এক ছাত্রী। তবে প্রসবের পরই নবজাতকটিকে ট্রাঙ্কের মধ্যে তালাবদ্ধ করে রাখায় শিশুটি মারা গেছে। ওই ছাত্রীও গুরুতর অসুস্থ বলে জানা গেছে।

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের একটি কক্ষের তালাবদ্ধ ট্রাংক থেকে নবজাতক উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বেলা তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। উদ্ধারের পর নবজাতকটিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ১০টার দিকে নবজাতকটির মৃত্যু হয়। এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর তাজউদ্দিন সিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তাজউদ্দিন সিকদার জানান, ঘটনা তদন্তে হলের সহকারী আবাসিক শিক্ষক রাবেয়া খাতুন তানিয়াকে প্রধান করে চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

হল প্রশাসন ও প্রক্টর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে আশপাশের শিক্ষার্থীরা তার প্রসব বেদনার কথা জানতে পারেন। পরে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে এনাম মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করেন।

হলের কয়েকজন আবাসিক ছাত্রী জানান, ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর কক্ষ থেকে নবজাতকের কান্নার আওয়াজ পাওয়া যায়। খোঁজাখুজি করে কক্ষে থাকা ট্রাঙ্ক থেকে তালা ভেঙে নবজাতককে উদ্ধার করে হল প্রশাসন। পরে নবজাতককে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এনাম মেডিকেল পাঠান।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ বলেন, ‘নবজাতককে যখন মেডিকেলে আনা হয়, তখন তার শরীর সম্পূর্ণ নীল রং ধারণ করেছিল। অক্সিজেন দিয়ে বাচ্চাটিকে এনাম মেডিকেলে পাঠানো হয়।’ এ বিষয়ে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মুজিবর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে হলে যাই। কান্নার আওয়াজের ভিত্তিতে কক্ষের ট্রাঙ্ক ভেঙে নবজাতককে উদ্ধার করি এবং এনাম মেডিকেলে নিয়ে যাই। তবে বাচ্চাটাকে বাঁচানো যায়নি।’

অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি - dainik shiksha চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0057518482208252