মিরপুর থানার শেওড়পাড়ায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ছাত্রকে পা ভেঙে দেওয়ার ছয় দিন পরও দুই বখাটেকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। মেডিকেল কলেজে পড়ুয়া চাচাতো বোনকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় বখাটেরা তাঁর ওপর হামলা করেছিল।
গতকাল রাতে মিরপুর থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বখাটে ফাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফাহিমের সঙ্গে থাকা দুই যুবকের নাম পাওয়া গেছে। তাঁরা হামলায় জড়িত থাকলে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে। ফাহিম কারাগারে আছেন। আদালত তাঁকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন।
উত্তরায় ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওই ছাত্র গত মঙ্গলবার পশ্চিম শেওড়াপাড়ার শামীম সরণিতে তাঁর চাচাতো বোনকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করলে ফাহিমের নেতৃত্বে তিন বখাটে রড দিয়ে পিটিয়ে তাঁর ডান পা ভেঙে দেয়। এ ঘটনায় ফাহিমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ফাহিম একটি ধর্ষণ মামলার আসামি সিয়ামের মামা।
আহত ছাত্রের মা অভিযোগ করেন, বখাটে ফাহিমের সঙ্গে সিয়াম, তোতা মিয়া, শাহিন ও রুবেল হামলায় অংশ নিলেও তাদের আসামি করতে চাইলে মিরপুর থানার ওসি তাদের নাম বাদ দিয়ে মামলা গ্রহণ করেন। ঘটনার পরদিন জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন ছেলেকে দেখতে গেলে শেওড়াপাড়া বৌবাজারের কাছে ফাহিমের সহযোগী সেলিমের নেতৃত্বে কয়েকজন তাঁকে বহনকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশা আটকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ওই দিন পঙ্গু হাসপাতালে গিয়েও ফাহিমের কয়েক সহযোগী তাঁদের হুমকি-ধামকি দেয়। বখাটেদের ভয়ে তিনি সপরিবারে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পুলিশকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না।
পঙ্গু হাসপাতালে গিয়ে হুমকির ঘটনায় গতকাল বুধবার রাতে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শেরেবাংলা নগর থানার ওসি গোপাল গণেশ বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে মিরপুর থানার ওসি বলেন, ছাত্রটির মাকে মিরপুর থানায় জিডি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।