কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী কলেজ জাতীয়করণ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ। মঙ্গলবার কলেজ চত্বর থেকে ঢাক-ঢোল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে।
শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় কলেজ চত্বরে গিয়ে সভা করে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রুহুল আমিন মন্ডলের সভাপতিত্বে এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হায়াত মো. রমতুল্লাহ, পৌর মেয়র আব্দুর রহমান মিয়া, সহকারি অধ্যাপক শামছুল আলম, সহকারি অধ্যাপক জিয়াউল হক পাপ্পু, প্রভাষক আ.ম.প আনিছুর রহমান, প্রভাষক আল আমিন, প্রধান শিক্ষক নুর ইসলাম প্রমুখ। এছাড়াও বক্তারা শিক্ষার্থীদের প্রতি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
১৯৬৭ সালে কুড়িগ্রাম উত্তর তিন উপজেলা নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ী উপজেলায় উচ্চ শিক্ষা বিস্তারে নাগেশ্বরীর কয়েকজন শিক্ষানুরাগী ও শুভাকাংখীর উদ্যোগে মাত্র কয়েকজন শিক্ষার্থী নিয়ে একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাগেশ্বরী কলেজ যাত্রা শুরু করে। ধীরে ধীরে এর উৎকর্ষ সাধিত হয়। ১৯৭০ সালে তা ডিগ্রী কলেজে উন্নীত হয়। স্নাতকের শুরুতে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ থাকলেও ১৯৯৩ সালে বিজ্ঞান বিভাগ চালুর মধ্য দিয়ে পুর্ণাঙ্গ ডিগ্রী কলেজে রুপান্তরিত হয়। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানটি অনার্স কলেজ হিসেবে যাত্রা শুরু করে।
শুরুতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয় থাকলেও পরবর্তীতে বাংলা, হিসাববিজ্ঞান ও প্রাণীবিজ্ঞান বিষয় চালু হয়। বর্তমানে পাঁচটি বিষয়ে অনার্স পড়ানো হচ্ছে। কলেজে মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪ হাজার। শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে ১০৯ জন। দরিদ্র পীড়িত এ অঞ্চলে উচ্চ শিক্ষার পখ সুগম করতে দীর্ঘদিন পরে হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিকতায় কলেজটি জাতীয়করণ করায় শিক্ষক-কর্মচারীর পাশাপাশি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে সকল শেনি পেশার মানুষ।