জাতীয়করণের দাবি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ফের ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও বরখাস্ত অধ্যক্ষ মো: সেলিম ভূইঁয়া। প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫০ কোটি টাকা নিজ ব্যাংক আ্যাকাউন্টে সরানো, জঙ্গী ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অর্থায়নসহ বেশ কয়েকটি মামলার আসামী সেলিম ভূইয়া। অধ্যক্ষ হিসেবে তার এমপিওভুক্তি ও নিয়োগও অবৈধ ঘোষণা করেছে ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ।
২০১৪ ও ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দেও জাতীয়করণের দাবি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়করণের ব্যানারে সরকার হঠানোর এবং যুদ্ধাপরাধ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের মূক্তির দাবিতে কর্মসূচি পালন করেন সেলিমের সংগঠনের শিক্ষকরা। সেই সেলিম ভুইয়ার আবারও রাজপথে কর্মসূচি দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। আর রহস্যজনক ও কথিত সংবাদ সম্মেলন করে এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন। নিয়মানুযায়ী সংবাদ সম্মেলন করার আগে ঘোষণা দিতে হয়, স্থান-কাল উল্লেখ করে সাংবাদিকদের জানাতে হয়। কিন্তু বরাবরই সেলিম ভূইয়া রহস্যজনক সংবাদ সম্মেলন করেন আর বিএনপি-জামাতপন্থী পত্রিকার দুচারজন সেই খবর প্রচার করেন। গতকাল ১১ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনের খবর প্রকাশ করেছেন কতিপয় নামধারী সাংবাদিক। এমনই একটা পত্রিকায় আজ ১২ আগস্ট প্রকাশিত প্রতিবেদনটি দৈনিক শিক্ষার পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো:
“চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আগামী ২৩ আগস্ট থেকে রাজধানীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য 'মহাঅবস্থান' কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছেন বেসরকারি শিক্ষকরা। গতকাল মঙ্গলবার চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের নয়াপল্টন কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া বলেন, কভিড-১৯-এর কারণে আজ বিপর্যস্ত শিক্ষা ব্যবস্থা। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে ছাত্রছাত্রীদের বেতন আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠান-প্রদত্ত বেতনও পাচ্ছেন না। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফান্ড থাকা সত্ত্বেও শিক্ষকদের বেতন না দেওয়ার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি। গত ঈদুল আজহায় বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের জুলাই মাসের বেতন ও পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা না দেওয়ারও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। শিক্ষক নেতারা বলেন, বর্তমানে যে হারে শিক্ষকরা নির্যাতিত হচ্ছেন, চাকরি হারাচ্ছেন তা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মো. দেলোয়ার হোসেন, জাকির হোসেন, প্রিন্সিপাল আবদুর রহমান, অধ্যাপক কাজী মাঈনুদ্দিন, অধ্যাপক রকিব উদ্দিন, অধ্যাপক রাশেদুল ইসলাম, অধ্যাপক জানে আলম দীপু, সিরাজুল আলম প্রমুখ।”