জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশের একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। সেশনজট নিরসনে এই প্রতিষ্ঠানটি যথাযথভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বলা চলে এখন আর জট নেই। কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় এই যে, ইয়ার চেঞ্জ পরীক্ষায় যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী এক বা একাধিক বিষয়ে ফেল করে, পরবর্তী বছরে ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষায় অংশ নেয়—তাদের পরীক্ষার খাতা যথাযথভাবে মূল্যায়িত হয় না। এর ফলে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী একাধিকবার পরীক্ষা দিয়েও পাস করতে পারছে না। যে শিক্ষার্থী প্রথম বর্ষে এক বিষয়ে ফেল করেছে, সে চতুর্থ বর্ষ অতিক্রম করছে, কিন্তু একাধিকবার পরীক্ষা দিয়েও প্রথম বর্ষের ওই সাবজেক্টে পাস করতে পারছে না।
এতে সময়, টাকা আর মেধার অপচয় হচ্ছে। স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী তার ক্যারিয়ার সম্পর্কে সচেতন। এ অবস্থায় ভুক্তভোগীরা চাকরির প্রস্তুতি / অন্যান্য কাজে সময় দিতে পারছে না। তাদের মধ্যে কেবল হতাশা বিরাজ করছে। বোর্ড / কলেজে গিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। সুতরাং, বোর্ড পরীক্ষাসহ ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষার খাতা যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হোক, যাতে শিক্ষার্থীরা কোনোরকম হয়রানি ছাড়াই উচ্চশিক্ষার বাতি জ্বালাতে সক্ষম হয়।
আল আমীন
চতুর্থ বর্ষ, উদ্ভিদববিদ্যা বিভাগ
জাতীয় বিশ্বববিদ্যালয়।