জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাপ নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) জাবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের উদ্যোগে জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য বলেন, এক সময় সাপের উর্বর ভূমি ছিলো জাহাঙ্গীরনগর। কিন্তু এখন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে বিল্ডিং করায় সাপ কমে গেছে। সাপ শুধু বিষধর প্রাণী নয়। এর অনেক উপকারও রয়েছে। সাপ যেমন ইঁদুর খেয়ে ফসল রক্ষা করে তেমনি অনেক জটিল রোগেও ওষুধও তৈরি হয় সাপের বিষ থেকে।
সাপ বিষয়ক এ অনুষ্ঠান করা জন্য তিনি প্রাণিবিদ্যা বিভাগকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে সাপের বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে বলেন।
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আব্দুল জব্বার হাওলাদার ও প্রাণী গবেষক অধ্যাপক মোস্তফা ফিরোজ।
অনুষ্ঠানে সাপ বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান।
তিনি তার প্রবন্ধে বলেন, বাংলাদেশের ৭৬ প্রকার সাপের মধ্যে ১১ প্রকার সাপ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দেখা যায়। এর মধ্যে নয় প্রকার সাপ নির্র্বিষ ও ২ প্রকার সাপ বিষধর।
তিনি বলেন, চ্যাপ্টা লেজ বিশিষ্ট সামুদ্রিক সাপ অধিকাংশই বিষধর। যেসব সাপ ফণা তোলে সেগুলো বিষধর। তবে কাল-কেউটে ফণা না তুললেও সেটা একটি মারাত্মক বিষধর সাপ। সাপের নিরাপদ আশ্রয় ধ্বংস হচ্ছে বলেই বাধ্য হয়ে মানুষের আবাসনে সাপ আশ্রয় নিচ্ছে। সাপ কখনো নিজে থেকে কাউকে আক্রমণ করে না।
তিনি আরো বলেন, ৯৫ শতাংশ সাপ নির্বিষ। কজেই সচেতন থাকলে সাপের বিষয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।