জাবির উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ চান শিক্ষকরা | সমিতি সংবাদ নিউজ

জাবির উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ চান শিক্ষকরা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের (ভিসি) পদত্যাগ দাবির একদিনের মাথায় উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি, প্রশাসন) অধ্যাপক আমির হোসেনের পদত্যাগ দাবি করেছেন উপচার্যপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের (ভিসি) পদত্যাগ দাবির একদিনের মাথায় উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি, প্রশাসন) অধ্যাপক আমির হোসেনের পদত্যাগ দাবি করেছেন উপচার্যপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে, ‘উপাচার্য বিরোধী আন্দোলনের আসল রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। উপাচার্যকে অমূলক অভিযোগে পদ থেকে সরিয়ে অধ্যাপক আমির হোসেন নিজে অথবা তার কোনো গুরুজনকে উপাচার্য বানাতে চান।’

বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, ‘২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রশাসনের কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থেকে অসহযোগিতামূলক আচরণ শুরু করেন অধ্যাপক আমির। প্রশাসনিক ও উন্নয়ন কাজের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অনুপস্থিত থাকা এবং বুধবারের প্রশাসন-আন্দোলনকারীদের বৈঠক বর্জন করে সমঝোতার পথ জটিল করেছেন অধ্যাপক তিনি। এর আগে ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষে নিজের ভাগ্নেকে ভর্তি করাতে প্রশ্নপত্র জালিয়াতির অভিযোগ উঠে। এর প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এছাড়া সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির পাহাড় রয়েছে।’ তিনিই ফোনালাপ ষড়যন্ত্রের মূল হোতা বলে অভিযোগ তোলে সংগঠনটি।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন দফা দাবি জানিয়েছেন উপাচার্যপন্থি শিক্ষকদের এ সংগঠন। তাদের দাবিগুলো হলো- উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক আমির হোসেনের পদত্যাগ, ভাগ্নের ভর্তি কেলেঙ্কারির শাস্তি নিশ্চিত করা, ভর্তি সংক্রান্ত কাজ থেকে বিরত রাখা, অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরের বিরুদ্ধে ‘কালো’ পুস্তকে আনীত অভিযোগের তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক আমির হোসেন বলেন, ‘প্রশ্নপত্র জালিয়াতির অভিযোগটি তৎকালীন বিএনপিপন্থি উপাচার্য (অধ্যাপক) মুস্তাহিদুর রহমানের রাজনৈতিক এজেন্ডা ছিল। এটি মীমাংসিত বিষয়। কিন্তু হঠাৎ করে কেন এখন বিষয়টি আলোচনায় আনা হলো তা চিন্তার বিষয়। বুধবার প্রশাসনপন্থি শিক্ষকদের একটা মিটিং হয়েছে। সেখানে তারা একটি উইকেট ফেলার (আমাকে পদচ্যুত করার) সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উপাচার্যের যদি পদত্যাগ হয় তাহলে যেন আমি কোনো পদে আসীন হতে না পারি সেজন্য তারা প্রপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে।’

প্রশাসন-আন্দোলনকারীদের বৈঠক বর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আগেই রেজিস্ট্রারকে বিষয়টি অবহিত করেছিলাম। আমার মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ক্ষেত্রে প্রশাসনের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। বুধবার আলোচনা বর্জন করায় উপাচার্য আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। যেটি তার এখতিয়ারভুক্ত নয়।’

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘বৈঠকে না আসলে আমি শোকজ করতেই পারি। এই শোকজ হচ্ছে তিনি কেন বৈঠকে উপস্থিত থাকেননি এই নিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি তার কর্তব্য পালন না করলে আমি অবশ্যই জানতে চাইতে পারি। আচার্য করলে ফাইনালি শোকজ করবেন।’