জামিন পেয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) মোতালেব হোসেন। বুধবার জামিন পেয়েছে মোতালেব।জঙ্গিবাদে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে বন্ধ থাকা ঢাকার লেকহেড গ্রামার স্কুল খুলতে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার অপর আসামি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চমান সহকারি নাসিরের জামিন হয়নি। জামিন পাওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী মোতালেবের সঙ্গে সাক্ষাত করেন বলে জানা যায়।
নাসির ও মোতালেব এবং লেকহেড স্কুলের অন্যতম মালিক খালেদ হাসান মতিন বিরুদ্ধে মামলা করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। জঙ্গিবাদে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে বন্ধ থাকা ওই স্কুল খুলতে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে ওই তিনজনের বিরুদ্ধে।মতিন গতমাসে জামিন পেয়েছে।
মোতালেব হোসেন ও খালেদ হাসান মতিনকে ও নাসির উদ্দিনকে গত জানুয়ারি মাসে গ্রেপ্তার করার পর থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। কয়েকদফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাদেরকে। ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৬১, ১৬২ ও ১৬৫ ধারায় দায়ের করা এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে মন্ত্রণালয় থেকে মোতালেব ও নাসিরের ব্যক্তিগত নথি পাওয়ার পরপরই সরকারি-স্বায়ত্তশাসিত ৪০টি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন নথিপত্র তলব করে চিঠি দিয়েছে এ সংক্রান্ত অনুসন্ধান দল প্রধান। এতে জানতে চাওয়া হয়েছে গ্রেপ্তার ও জেলে থাকা নাসির ও সদ্য জামিনে মুক্তিপাওয়া মোতালেবের ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্য কোনও ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে কি-না।
অনুসন্ধান টিম প্রধান ও দুদক উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারি সই করা পৃথক চিঠি গত ৪ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা জেলা প্রশাসক অফিস, জেলা রেজিষ্ট্রার অফিস, নির্বাচন কমিশন, হাউজ ব্লিডিং কর্পোরেশন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ (রাজউক) ৪০ টি প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।
জেলে যাওয়ার পর মোতালেব ও নাসিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।