জাল সনদে ৯ বছর চাকরি: প্রভাষকের বিরুদ্ধে মামলা - দৈনিকশিক্ষা

জাল সনদে ৯ বছর চাকরি: প্রভাষকের বিরুদ্ধে মামলা

রংপুর প্রতিনিধি |

রংপুরের বদরগঞ্জে জাল সনদপত্র দিয়ে চাকরি নেয়ায় নিরঞ্জন কুমার রায় নামে এক প্রভাষকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তিনি ৯ বছর ধরে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার জাল সনদপত্র দাখিলের মাধ্যমে চাকরি করে আসছেন। বিষয়টি প্রকাশিত হলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসি) নির্দেশে গত ২৭ জুলাই বদরগঞ্জ থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। নিরঞ্জন কুমার রায় বদরগঞ্জ সরকারি কলেজের বাংলা অনার্স বিভাগের প্রভাষক।

স্থানীয় ও এনটিআরসির সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, নিরঞ্জন কুমার রায় বিগত ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ ফেব্রুয়ারি বদরগঞ্জ সরকারি কলেজে বাংলা অনার্স বিভাগে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান। ওই নিয়োগ পরীক্ষায় তিনি অন্যান্য শিক্ষা সনদের সঙ্গে শিক্ষক নিবন্ধনের একটি সনদপত্র দাখিল করেন। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় তাঁর রোল নম্বর ৭২০১০১৩৫ ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৭০১১৮১৮ বলে উল্লেখ করা হয়। মূলত নিরঞ্জন কুমার রায় অন্যের রোল নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে একটি হুবহু জাল সনদ তৈরি করে নিয়োগ নেন।

এদিকে সনদপত্রটি সঠিক কি না, তা যাচাইয়ের জন্য গত বছরের ১০ এপ্রিল অন্য একটি প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে বলা হয় তাঁকে। নিরঞ্জন কুমার রায় আবারও এনটিআরসির সহকারী পরিচালক মোস্তাক আহমেদের স্বাক্ষর জাল করে নকল সনদপত্রটি সঠিক বলে প্রত্যয়নপত্র দাখিল করেন। পরে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায়, তিনি দুটি ভুয়া সনদ তৈরি করে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছেন।

সম্প্রতি দেশের ৩০২ বেসরকারি কলেজকে জাতীয়করণ করা হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মইনুল হাসান শুধু শিক্ষক নিবন্ধনধারী প্রভাষকদের সনদপত্র সঠিক কি না, তা যাচাই করে কলেজের অধ্যক্ষদের প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। পরে নিজ নিজ কলেজ থেকে শিক্ষক নিবন্ধনধারী শিক্ষকদের সনদপত্র এনটিআরসি দপ্তরে পাঠানো হয়। এতে নিরঞ্জন কুমার রায়ের দাখিল করা সনদপত্রটি জাল ও ভুয়া বলে অভিযোগ ওঠে।

পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য সনদটি এনটিআরসি দপ্তরে পাঠানো হলে সনদটি অধিকতর যাচাই শেষে দেখা যায়, এটি জাল ও ভুয়া। এতে যে রোল নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে, তা অন্য একজন প্রার্থীর। অভিযুক্ত শিক্ষক নিরঞ্জন কুমার রায় বলেন, ‘যে সময় আমি নিয়োগ নিয়েছি, সে সময় শিক্ষক নিবন্ধন সনদপত্রের প্রয়োজন ছিল না।’ তাহলে পরে কেন জাল সনদ জমা দেয়া হলো—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত বিরোধের কারণে অধ্যক্ষ আমার ফাইলে জাল সনদ রেখে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন।’

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0066318511962891