প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তখন মুখের বিভিন্নরকম অভিব্যক্তি করে তার বক্তব্যের ভেংচি কাটছিল ১৭ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্র। প্রেসিডেন্টের ঠিক পেছনে বসে বারবার এ ব্যঙ্গভঙ্গি করায় তাকে এবং তার দুই বন্ধুকে সমাবেশস্থল থেকে বের করে দেয় নিরাপত্তাকর্মীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানা রাজ্যে ঘটে যাওয়া বৃহস্পতিবারের এ হাস্যকর ঘটনাটি ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে মার্কিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
বিলিংসের রিমরক অটো অ্যারিনায় দর্শক-শ্রোতার সারিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঠিক পেছনেই দাঁড়িয়েছিল টাইলর লিনফেস্টি নামের ওই ছাত্র। গায়ে মোটা কাপড়ের শার্ট। স্থানীয় ভাষায় যার নাম ‘প্লাইড শার্ট’। সেই শার্টের নামেই মার্কিনিদের মুখে মুখে এখন সে ‘প্লাইড শার্ট গাই’। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাকে এই নামেই ডাকা হচ্ছে।
ভাষণে যখন ট্রাম্প বলছিলেন, মার্কিন অর্থনীতি এখন ইতিহাসের সেরা অবস্থায় আছে। সে সময় টাইলর ট্রাম্পকে নকল করে ব্যঙ্গাত্মক অভিব্যক্তি করে, তারপর মুচকি হেসে তার বন্ধুর দিকে তাকায়।
আরেক জায়গায় ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী। বেকারত্বের হার রেকর্ড পরিমাণ কম। তখন টাইলর মুখ ‘হাঁ’ করে বিস্ময় প্রকাশ করে এবং ঠোঁট কামড়ে ধরে।
বক্তৃতার এক পর্যায়ে ট্রাম্প বলেন, আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন অনেক বেশি মার্কিনি কাজ করছে। ট্রাম্পের এমন বক্তব্যে টাইলর ওপরের দিকে তাকায় এবং ঠোঁট নেড়ে বলে, এটা কী সত্য?
সমাবেশ থেকে বের করে দেয়ার বিষয়ে টাইলর সিএনএনকে বলে, আমাকে তারা কিছু বলেননি। তবে সমাবেশের আগে আমাদের উৎসাহ, হাততালি দেয়া এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হর্ষধ্বনি করতে বলা হয়। আমি এগুলো করছিলাম না, কারণ আমি উৎসাহী ছিলাম না। তিনি যা বলছিলেন তা নিয়ে আমি খুশি ছিলাম না।
টাইলর বলে, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমার অভিব্যক্তি আমার বন্ধুদের নজরে আসে। তারা আমাকে টেক্সট করে জানায়, আমাকে টেলিভিশনে দেখা যাচ্ছে। ওই মুহূর্তে আমি ‘ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট অব আমেরিকা’ স্টিকার পকেট থেকে বের করে শার্টের সঙ্গে জুড়ে দিই।
যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ট্রল করার কোনো ইচ্ছাই আমার ছিল না। টাইলর যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থক নয়, তবে সে প্রেসিডেন্টকে দেখার সুযোগটা হাতছাড়া করতে চায়নি।