ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের (এসএম) এক ছাত্রকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়েছে। এই ঘটনায় আরো একজন আহত হয়। বৃহস্পতিবার রাত তিনটায় জহুরুল হক হলের ছাত্রলীগের কিছু কর্মী এসএম হলে গিয়ে এই ঘটনা ঘটান। মারাত্মক আহত পলাশ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
অপরদিকে এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় পলাশীর মোড়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা একটি চায়ের দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী এক ছাত্র জানান, বঙ্গবন্ধু হলের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সাহিদুর রহমান শান্ত পলাশীতে আসার সময় রাত তিনটার জহু হলের মধ্যে থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ফরিদ কর্তৃক বাধার স্বীকার হন। ফরিদ তার পরিচয় জানতে চান। শান্ত পরিচয় দেওয়ার পর তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। ফরিদ তাকে বহিরাগত আখ্যা দিলে শান্ত বিভিন্ন হলের তার কয়েকটা বন্ধুকে ফোনে ডাক দেন। শান্তর পাঁচ-ছয় জন বন্ধু এসে ফরিদকে চড় থাপ্পর দিয়ে হলে পাঠিয়ে দেন। পরে সবাই যার যার মতো চলে যান।
পরে ফরিদসহ তার কয়েকজন বন্ধু দুটা রিকশায় এসএম হলের গেটে এসে পলাশকে রড, দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। একপর্যায়ে পলাশ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এ সময় তুষার নামে একজন ঠেকাতে আসলে তাকেও আঘাত করা হয়। পলাশকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাকে বারোটা সেলাই দেন।
জহুরুল হক হলের সাধারণ সম্পাদক আসিফ তালুকদার বলেন, এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।